|
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টারঃ মোঃ ওমর ফারুক
পৃথিবীর জন্ম লগ্ন হতে একের পর এক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ সারা দুনিয়ার মানুষ যার যার স্থান হতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।ব্রিটিশ আমলে যেমন মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ,যোগাযোগ ব্যবস্থা,এমনকি তথ্য আদান প্রদান ছিলো খুভ কষ্টকর।কিন্তু আজ সেই কষ্টকর দিন,সময়কে পেছনে ফেলে মানুষ তার নিজেদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা দুনিয়ার চিত্র পাল্টে দিয়ে সমগ্র মানব জাতীকে এক বিষ্বয়কর পৃথিবী দিতে সক্ষম হয়েছে।
যেখানে এক সময় মানুষ তার মনের ব্যক্তকে কোনো এক কাগজের মাধ্যমে পত্র মিতালী করে আদান-প্রদান করতেন।কিন্তু আজ সেই বিষয়কে অনেক পেছনে ফেলে মানুষ এই সকল তথ্য আদান-প্রদানের সহযোগী হিসেবে নানান ধরনের প্রযুক্তি দ্বার করিয়েছেন,যেমন-টেলিফোন,মোবাইল ও ইন্টারনেটের মত অনেক কিছু।এমনকি তখনকার যুগে দেশ-বিদেশের খবর প্রকাশিত হতো বার্তার মাধ্যমে,এমনকি যা একদিনে পৌছানো সম্ভব ছিলো না।আর আজ সেই দেশ-বিদেশের সকল ধরনের খবরা খবর পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ হয়,যা নাকি একেবারেই মানুষের হাতের নাগালে।আর সেই প্রযুক্তির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের সকল পত্র-পত্রিকা এক বিশেষ ভুমিকা ও দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করে আসছে আর যা সকলের কাছে প্রশংসনীয়।
আর সেই প্রযুক্তি অনুসারে প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য সরকারের কিছু বৈধতা বা নিয়ম কিংবা প্রকাশের জন্য কিছু বাধ্যবাদকতা জারী করেছেন।
যেমন বাংলাদেশে কোনো পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স,টিন সারটিফিকেট,ব্যাংক সলভেন্সি,প্রেসের মুদ্রনের চুক্তিপত্র,এনআইডি ও জেলা প্রশাসককে অবগত করার দরখাস্ত সহ আরো অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।
ঠিক তেমনি একটি পত্রিকা যার নাম “সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পরিক্রমা”,যার প্রকাশক ও সম্পাদক কাজী হারুনুর রশিদ,১৩১/বি, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া,ঢাকা।যার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর,কাওখালী।এমনকি উক্ত কাওখালী ইউনিয়নের দুই দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন,এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ পাশ এবং যিনি এখন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
অথচ উক্ত পত্রিকাটির মালিকানা দাবী করে গত ১৬/০২/২০২০ ইং তারিখে ফরম “বি”তে উক্ত পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাক্ষরের ঘোষনাপত্রের মাধ্যমে উল্লেখিত পত্রিকাটির তথা “দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমা” মোঃ কাজী হারুনুর রশিদের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অন্য এক ব্যক্তি মালিকানা দাবী করে আসছেন,যা নাকি তথ্য প্রযুক্তির আইন বহির্ভূত এবং গর্হিত অন্যায়।
উক্ত পত্রিকার সঠিক মালিকানার তথ্য নেয়ার জন্য উল্লেখিত ঠিকানায় খোজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।সেখানে গিয়ে বর্তমান দাবী করা মালিকের ডিক্লেরেশন কপি নিয়ে উক্ত এলাকার অধিকাংশ স্থানীয় লোকদের,এমনকি উল্লেখিত ঠিকানায় যেখানে বর্তমানে একটি ডেভেলপ কোম্পানী একটি হাইরেজ বিল্ডিং তৈরির সাইন বোর্ড দেখে ভিতরে প্রবেশ করে কর্মরত কিছু লোকদের উক্ত ডিক্লেরেশন দেখালে এবং উনি কি কাজী হারুনুর রশিদ কিনা জিজ্ঞাসা করলে একযোগে সকলেই বলে উঠে যে,ডিক্লেরেশন কাগজে সংযুক্ত ছবিটির লোকটিকে কেহই চেনেন না,এমনকি উনি কাজী হারুনুর রশিদ নন।
পাশাপাশি অনেক কষ্ট করে মুল মোঃ কাজী হারুনুর রশিদের বড় ছেলে মোঃ পলাশ এর অফিসে কর্মরত এক ব্যাক্তির সাথে (নাম জানাতে অনিচ্ছুক)যোগাযোগ করে উক্ত ডিক্লেরেশন এর কপি দেখালে তিনি এক কথায় বলে দেন যে,উনি (ফরম “বি”তে ডিক্লেরেশনে সংযুক্ত ছবির লোক) কাজী হারুনুর রশিদ নন এবং উল্লেখিত ঠিকানায় সংযুক্ত ছবিতে যিনি আছেন এই ছবির কাজী হারুনুর রশিদ নামে উক্ত ঠিকানার কেও নন।পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তির নিকট কাজী হারুনুর রশিদের কোনো ছবি আছে বা দিতে পারবেন বললে তিনি সাথে সাথে মেইল করে দিয়ে দেন।যার ছবিটি নিচে দেওয়া হলোঃ-
পরবর্তীতে উক্ত ডিক্লেরেশন কপি নিয়ে সিদ্বেশ্বরীতে অবস্থিত ডিএফপি’তে গিয়ে উক্ত বিষয়ে সঠিক কোনটা বা উল্লেখিত পত্রিকার মুল মালিক কে জানতে চাইলে তারা অনেকটা গরিমশি করতে থাকে,এক পর্যায় উক্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে যোগাযোগ করে দেখতে বলে জানিয়ে দেন।পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের অন্তর্ভুক্ত প্রকাশনা শাখায় কর্মরত উপস্থিত এক মহিলাকে উক্ত বিষয়টির সামগ্রিক ঘটনা জানানো হয়,এমনকি এই ব্যপারে কিছু জানতে চাইলে তিনি বিষয়টা এড়িয়ে যায়,এমনকি তিনি এই ব্যপারে কোনো কিছু জানাতে পারবেন না বলে সোজা সাপটা জানিয়ে দেন।তাতক্ষনিক উক্ত ব্যপারে জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে উক্ত দিনের মতো সাক্ষাৎকার শেষ হয়ে যায়।পরবর্তীতে এই ব্যপারে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তথাপি জেলা প্রশাসকের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ ও উক্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে স্ব-হৃদয় বিবেচনার সহিত “দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমা” পত্রিকাটির “দৈনিক” ডিক্লেরেশন বাতিল করে “সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পরিক্রমা” ও পূর্বের মালিকের নামে বহাল রাখার জন্য একজন সচেতন সাংবাদিক হিসেবে আপনার সুদৃষ্টি কামনায় আশা ব্যক্ত করলাম।
আরো উল্লেখ থাকে যে,উল্লেখিত পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে মোঃ আল আমিন আহমেদ নামে এখনো পত্রিকাটি আরামবাগস্থ ফসল প্রেস হতে মদ্রিত ও প্রকাশিত হচ্ছে,অথচ পত্রিকায় ৯৬,ডিআইটি,মালিবাগ চৌধুরীপাড়া,ঢাকা ঠিকানার নামে উল্লেখিত পত্রিকাটির মুদ্রন প্রকাশের চুক্তিপত্র উল্লেখ থাকে।শুধু তাই না,একজন সম্পাদক হওয়ার জন্য ন্যুনত্তম শিক্ষাগত যোগ্যতা যা প্রয়োজন সে বিষয়টি’কে ও খতিয়ে দেখার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
|
Leave a Reply