রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টার-মোঃ ওমর ফারুক
ঢাকা ওয়াসা বর্তমান সময়ে যেমন সরকারী রাজস্বখাতে আয়ের উৎস হিশেবে বিশাল ভুমিকা রেখেছে,ঠিক তামনি বিগত দিনেও এর অবদান ছিলো অ-প্রতুল।যেখানে বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাতে রাজস্ব আদায়ে ব্যস্ত,ঠিক চলমান সময়ে ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-১ এর অধীনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আল বাকী তার নিজস্ব আর্থিক স্বার্থের জন্য কিছু অসাধু ও বহিরাগত লোকজন দিয়ে তার আওতাধীন কর্মরত সরকারী ও বে-সরকারী বিলিং সহকারীদের এড়িয়ায় কাজে লাগিয়ে তথা সরকারী ওয়াসা বিল প্রদানের কাজে লাগিয়ে মাসে মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্বসাত করে আসছে।এমনকি সরকারী রাজস্বখাতে যে অর্থ জমা হওয়ার কথা,সে অর্থ জমা হচ্ছে তার তথা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আল বাকী’র ব্যক্তিগত অরথভান্ডারে।শুধু তাই না,তারিই সহযোগিতায় অনেক বহিরাগত এবং অ-নিয়োগপ্রাপ্ত লোক তার করমস্থলে নিজেদের কর্মস্থান তৈরি করে নিচ্ছে।
ঠিক তেমনি এক বহিরাগত এবং তার ব্যক্তিগত লোক মোঃ মোমিন এর সাথে এক ফোনালাপের মাধ্যমে জানা যায় যে,তিনি এইখানে বহুদিন যাবত ওয়াসার বিল প্রদানের কাজে কর্মরত আছেন। মোঃ মোমিন তিনি আরো বলেন,সেপ্টেম্বর মাসের ওয়াসার বিল গ্রাহকদের নিকট পৌছে দেয়ার জন্য উক্ত অফিসে কর্মরত মোঃ ইমরুলের মাধ্যমে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আল বাকী ৩১২ নং কোডের তথা মীর হাজীরবাগস্থ ৫৪৪ জন ওয়াসার পানি সেবা গ্রহনকারী সকল গ্রাহকদের বিল তিনি গ্রহন করেন।যেমন কথা তেমন কাজ,এই সকল বিল মোঃ মোমিন তার নিজ দায়িত্বে সকল গ্রাহকদের নিকট পৌছে দেয়ার পাশাপাশি নগদ অর্থ ও গ্রহন করেন,যার পরিমাণ তার ফোনালাপের মাধ্যমে জানা যায় যে প্রায় ১,১৬,০০০(এক লক্ষ ষোল হাজার)টাকা।যার অধিকাংশই মোঃ আল বাকী(সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা) গ্রহন করেন।এমনকি উক্ত টাকা হতে ১৫,০০০(পনেরো হাজার)টাকা মোঃ মোমিন গ্রহন করেন,কিন্তু বাকী ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা কি উক্ত অফিসে কর্মরত মোঃ ইমরুল (যিনি মোঃ মোমিনের নিকট সরকারী ওয়াসার বিল প্রদান করেছেন) গ্রহন করেছেন নাকি অন্য কেও গ্রহন করেছেন সেটার সদ্ব-উত্তর পাওয়া যায়নি।এই ব্যপারে কোনো একটি কাজের ফাকে উক্ত অফিসের ডেপুটি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ তানভির সিদ্দিক’কে অবগত করলে তিনি এক কথায় বলে দিছেন যে,তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন,পাশাপাশি এই সকল কাজ যাতে ভবিষ্যতে আর কেও করতে না পারে এমনকি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।
আরো উল্লেখ থাকে যে,উক্ত ফোনালাপের রেকর্ডের কিছু অংশ যা অন্যায় হিসেবে প্রমানিত হয় ঠিক ততটুকু তাকে শোনানো হয়েছে,এবং তিনি মনোযোগ সহকারে বিষয়টি শুনেছেন।সবুজ কালার গেঞ্জি পরা লোকটি হচ্ছে বহিরাগত ও সরকারী বিল প্রদানকারী মোঃ মোমিন।অন্যজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আল বাকী।
তবে এই সকল অন্যায় কাজ করা থেকে থেমে নেই উল্লেখিত বহিরাগত লোকদের।যাদেরকে পুরোপুরি সমর্থন করে যাচ্ছেন মুষ্টিময় কিছু অসাধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা,এমনকি এই সকল কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় রাজস্বখাত প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছে সরকার,যার প্রমান পাওয়া সত্বেও উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিসের প্রাধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামাল উক্ত বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেননি,বরং হুশিয়ারী জানিয়েছেন।কিন্তু সেই হুঙ্কারকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করে পুনঃ কাজে মত্ত রয়েছেন পুরো ঢাকা ওয়াসা জোন-১ ও ৭।
যেখানে বর্তমান একের পর এক ছোটো হতে বড় বড় সকল সমসাময়িক জনগনের উন্নত জীবনের কথা চিন্তা করে সাফল্য আনয়ন করে যাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের কাছে একটি উন্নয়ন মুলক মডেল দেশ হিসেবে গড়ার প্রত্যয় নিয়ে অনিদ্রা এবং ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গমাতা শেখ পরিবারের সুযোগ্য সাহসী মানসকন্যা শেখ হাসিনা।
তার দেয়া হুঙ্কারে এখনো বাংলার ভুমিতে দুর্নীতি করার সাহস মন্ত্রী থেকে শুরু করে কোনো নেতাকর্মী করতে সাহস করেন না।
ধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গমাতা শেখ পরিবারের সুযোগ্য সাহসী মানসকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সকল সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অথচ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তারা “দুর্নীতিবাজ সে যে হউক,কাওকেই ছাড় দেয়া হবে না” প্রদান্মন্ত্রীর এই হুশিয়ারীকে অবহেলা করেও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সরকারের রাজস্বখাত হতে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্বসাত করে যাচ্ছেন,যা এক গ্লাস পানি পান করার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সকল অপরাধ করে আসা কর্মকর্তারা কি সরকারের আমাদের গর্বিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গমাতার মানসকন্যা শেখ পরিবারের সুযোগ্য সাহসী শেখ হাসিনা’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেয়া হুশিয়ারীর চেয়ে কি বড়ো ?
Leave a Reply