মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
শ্রীনগর( মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নান্নু মিয়া সড়ক গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপুরণ হয়েছে। উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ী থেকে হয়ে অন্যত্র যাওয়ার মত কোন রাস্তাই ছিল না। এই একটি মাত্র সড়ক নান্নু মিয়া সড়ক নির্মান হওয়ায় পুরো ভূইচিত্র গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াতের চিত্র পাল্টে দিয়ে মুখে ব্যাপক হাসি ফুটিয়েছে। সড়কটি একুয়ার করা থাকলেও পানিতে নিম্মজিত থাকা জমিে স্থানীয় স্বল্প বাজেটে দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটি নির্মান করা সম্ভব হয়নি। এতে জনগনের ভোগান্তির শেষ ছিল না।
পুরো এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তবে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তবসহ কোন মুসুল্লি মসজিদে নামাজ আদায় করতে মসজিদে যেতে পারতো না এমনকি এ সড়কটি না থাকায় কোন ব্যাক্তি মারা গেলে চারজনের পরিবর্তনে দুজনে কাঁধে করে লাশ কবরস্থানে নেয়া ছাড়া কোন উপায়ই ছিল না। অথচ ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মাত্র ৩ শত গজ দুরে এ সড়কটি। অবশেষে ভুইচিত্রগ্রামের নান্নু মিয়ার সুযোগ্য কন্যা শিরিন আহম্মেদ এম পি ৩০১ মহিলা আসন-১ এম,পির কোঠার ২০২০-২১ অর্থ বছরের গ্রামীন অবোকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দে অবহেলিত এ সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর দাবী নান্নু মিয়া এই সড়কটির নির্মানে মুল উদ্যোগতা ও অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি। এমনকি সরকারি একুয়ারের বাইরে নিজের ২৫ লক্ষ টাকা মুল্যের ৫ শতাংশ জমি রাস্তার উন্নয়নের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। অবশেষে গ্রামবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সড়কটির নাম করণ করা হয় নান্নু মিয়া সড়ক। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঁইচিত্র এলাকার বাতেন মাস্টারের বাড়ি থেকে মরহুম নান্নু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ফুট কাঁচা রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে এখন চলছে গাইডওয়ালের কাজ। লক্ষ্য করা গেছে, রাস্তাটি দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ বাতেন মাস্টারের বাড়ি থেকে ২শত ফুট রাস্তা ৯ ফুট প্রস্থ করার কথা থাকলেও গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে প্রায় ১৪ ফুট উঁচু করেন যাতে বর্ষাকালে সড়কটি চলাচলে কোন বিঘ্ন না ঘটে। ভূইচিত্র গ্রামের সাজু মিয়া জানান, ভূইচিত্র গ্রামটি স্বাধীনের পূর্ব থেকে সড়ক না থাকায় গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সড়ক হওয়াতে আমাদের চলাচলে আমুল পরিবর্তন এসেছে। স্থানীয় সাবেক শিক্ষক মিনাজউদ্দিন আহম্মেদ পিযুস মাস্টার গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, এই রাস্তাটির অভাবে কোন মানুষ মারা গেলে আমরা মৃত ব্যাক্তির লাশের খাটিয়া কবরস্থানে নিতে পারতাম না । তাই সড়কটি হওয়াতে আমাদের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাঘবসহ আমাদের কাঙ্খিক স্বপ্নপূরন হয়েছে।
Leave a Reply