বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টার-মোঃ আল আমিন
একদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে হিমশিম খাচ্ছেন অপরদিকে পণ্য পারাপারের একমাত্র সাশ্রয়ী মাধ্যম খেয়া ঘাটের নৌকা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকার পোশাকশিল্প ব্যবসায়ীরা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অন্যতম বৃহত্তর এই সেক্টরে কাজ করছে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। করোনা পরবর্তী যে সমযয়ে এখানকার ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার প্রাণপন লড়াই করে যাচ্ছে সে সময়ে বুড়িগঙ্গা নদীর খেয়া নৌকা বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায় আরো বেশি ভাটা পড়েছে।
করোনা মহামারিতে ব্যবসা বন্ধ থাকায় অনেকেই পুঁজি হারিয়ে দেউলীয়া। তার পরে ব্যাংক ঋন নিয়ে নতুন আঙ্গিকে লক্ষ লক্ষ টাকার পোশাক তৈরি করে ক্রেতা সংকটে এই এলাকার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিআইডবিøউটিএ’র নির্দেশে বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাট, ওয়াজঘাট ও সিমসন ঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় ক্রেতা সংকটে তারা। তবে এর কয়েশত গজ দূরে একটি ঘাট সচল করা হয়েছে। যার ফলে কোন পাইকার কেরানীগঞ্জে তৈরি পোশাক কিনতে পারছেনা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানহীন পোশাক কিনছেন মফস্বল ক্রেতারা। এভাবে চলতে থাকলে বৃহৎ এই শিল্প হারিয়ে যাবে বলে সঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
পোশাক তৈরি ও বিক্রীর জন্য যোগাযোগে সুব্যবস্থা ও পরিবেশ অনূকুল হওয়ায় ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ লক্ষ কারখানা ও লক্ষাধিক দোকানপাট। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস। এই এলাকার কারিগরদের তৈরি পোশাক দিয়ে দেশের ৮০ শতাংশ চাহিদা মিটছে ও বাকী ২০ শতাংশ ভারত, চায়না ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেন এই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বিআইডবিøউটিএ বলছেন, দূর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ করা হয়েছে এই ঘাটটি।
Leave a Reply