স্টাফ রিপোর্টারঃ ইমরুল হাসান
ইসলামি বক্তা আবু ত্ব–হাসহ চারজন ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন গাইবান্ধার ত্রিমোহনী এলাকার ত্ব–হার বন্ধু শিহাবের বাসায়। আজ শুক্রবার বিকেলে পৌনে পাঁচটায় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন ,
আপনারা অবগত আছেন গত ১০ তারিখে আবু ত্ব – হা মুহাম্মদ আদনান তার ৩ জন সফর সঙ্গী নিয়ে নিখোঁজ ছিল এ নিয়ে কোতোয়ালী থানায়। ২ টি জিডি হয়েছিল সেই জিডি সুত্রে তাদের কে অনুসন্ধান করতে থাকি ,
আমরা গোপন সুত্রে জানতে পারি চারতলা মসজিদে এলাকায় যে তার প্রথম স্ত্রী আছে আমরা সেই সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে আমরা তাকে নিয়ে আসি তাকে জিঙ্গাসাবাদে একপর্যায়ে আমরা তার সফর সঙ্গী আমীর উদ্দিন আমরা তাকেও নিয়ে আসি তার আরেক সফর সঙ্গী মুহিত তাকেও আমরা নিয়ে আসি আরেকজন ছিল ফিরোজ সে আছে বগুড়াতে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করেছি তারা তাকে নিয়ে আসবে আমাদের যে আইনি প্রক্রিয়া তাদের কে জিঙ্গাসাবাদ করা এবং তাদের কে কোর্টে হাজির করা তারা যে ধরনের জবানবন্দি দিবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো এখন পর্যন্ত আমরা প্রাইমারি ভাবে তাদের থেকে জেনেছি
“”কিছু ব্যক্তিগত কারনে তারা আত্মগোপন ছিল
এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ ঘটেনি বলে সে আমাকে প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে “
আমরা আরো সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাচাই করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো …
পরে সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন
তিনি গাইবান্ধায় এক বন্ধুর বাসায় বন্ধু থাকে না তার মা থাকে এটা গাইবান্ধা তৃমাথা ওইখানে ছিল। তার বন্ধুর নাম সিয়াম পরবর্তীতে তিনি আজকে এখানে (রংপুরে )চলে আসেন
এর আগে ১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবু ত্ব-হা আদনান। তাঁর মা রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের আট দিন পর পাওয়া গেল তাঁকে। তিনি সপরিবার রংপুর শহরে থাকেন। তাঁর মা আজেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁর ছেলে অনলাইনে আরবি পড়ানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার খুতবা দিতেন। ১০ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি মসজিদে খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রংপুর থেকে বিকেল চারটার দিকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সঙ্গী আবদুল মুহিত ও ফিরোজ। এ ছাড়া গাড়িচালক হিসেবে ছিলেন আমির উদ্দিন ফয়েজ। রাত ২টা ৩৬ মিনিটে আদনানকে তাঁর স্ত্রী ফোন দিলে তিনি বলেন, তিনি এখন ঢাকার গাবতলীতে আছেন। মুঠোফোনের চার্জও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এরপর থেকে আদনানসহ সবার মুঠোফোনই বন্ধ ছিল।
এর আগে ত্ব–হার শ্বশুরবাড়িতে গেলে শ্বশুর আজহারুল মণ্ডল এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। পরে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ত্ব–হার নানাবাড়িতে গেলে ভেতর থেকে কেউ বের হননি। কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
আবু ত্ব-হাসহ চারজনকে আজ পৌনে তিনটার দিকে রংপুর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয় বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ।
Leave a Reply