রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টারঃমোঃ ওমর ফারুক
বাংলাদেশের ট্রাক ও কাভার্ডভ্যন,এমনকি বড় বা ছোটখাট পিকআপ ট্রান্সপোর্ট হতে বাৎসরিক প্রচুর পরিমানে অর্থ সরকারের রাজস্ব ভান্ডারে জমা হয়ে আসতে থাকে।এমনকি,সেটা এ দেশের বিভিন্নখাতে দেশের ও জগনের কল্যানে ব্যয় হয়ে আসছে।
সেই সাথে উক্ত খাত হতে এবং অন্যান্য খাত হতে জমা হওয়া অর্থ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারী রাস্তা-ঘাট,ব্রিজ,কালবার্ট নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়ে আসছে,এমনকি যে সকল স্থানে ভাংগা রাস্তা রয়েছে সেগুলোর ও পুনঃনির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে।অথচ উক্ত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যন ও পিকআপ হতে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ি প্রতি ৩০ টাকা করে চাঁদা গ্রহন করে আসছে একদল শ্রমিক ইউনিয়ন নামে কুচক্র মহল।
উক্ত এই চাঁদা উঠানোর ব্যপারে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন হতে কোনো অনুমুতি পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে উক্ত শ্রমিক ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন নং-১৫২১ এর সভাপতি হাজী মোঃ জয়নাল আবেদিন এবং সাধারন সম্পাদক মোঃআব্দুল জব্বার জানান যে,তারা এই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের উন্নয়নে ব্যয় করেন,এমনকি যে সকল গাড়ি হতে এই চাঁদা আদায় করা হয় সে সকল গাড়ি গুলির যে কোনো বিপদ তথা সন্রাসী ও অন্যান্য ঝামেলা হলে তাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে প্রতিহত করেন বা ঝামালা থেকে মুক্ত রাখেন।
অথচ ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের কোনো এক অঞ্চলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে এই ব্যপারে তথা সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা হতে ৩০ টাকা করে যে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে সেটার ব্যপারে তারা অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন যে,ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন সরকারী রাজস্বখাতে আয় বাড়ানোর জন্য অনেকাংশ রাস্তা লিজ বরাদ্ধ দিয়েছেন।এমনকি অনেক রাস্তা বরাদ্ধ দেয়া হয়নি।
তাছাড়া উল্লেখিত পরিমান চাঁদা উঠানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানান না বলে তিনি জানান।পাশাপাশি বরাদ্ধকৃত জায়গা তথা রাস্তা যানজট সৃষ্টি করে চলন্ত গাড়ি হতে চাঁদা উঠানোর অনুমুতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন যে,ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন শুধুমাত্র তাদের আওতাধীন রাস্তার যে সকল স্থানে স্ট্যন্ড রয়েছে এবং বিভিন্ন মালামাল বহনকারী গাড়ি যদি সেই সকল বরাদ্ধ দেয়া স্ট্যন্ডের অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে সে সকল পরিবহন হতে ইজাদাররা টাকা উত্তোলন কোড়োটে পারবেন।এর বহির্ভূত কিছু হলে তারা সেটার দ্বায়ভার নিবেন না বলে স্পষ্ট বলেছেন তাদের কতৃপক্ষ।
অথচ এতো নিয়মের মধ্যেও চলছে অনিয়ম।এ যেন গা সাড়া দেয়ার মতন।এমনকি যে সকল রাস্তা হতে চাঁদা উঠানোর জন্য যানজট সৃষ্টি হয়,সেখানকার কর্মরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিকদের সম্মুখে ঘটিত যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ও একিই কথা বলেন যে,এভাবে রাস্তা যানজট সৃষ্টি করে কিসের টাকা উঠায় তারা সেটা জানেন না,এমনকি যতটুকু সম্ভব তারা এই সকল যানজট সৃষ্টি করতে বাধা প্রদান করেন এবং সেটা অনেকাংশে কম হয়।
তাছাড়া এই সকল সড়কের আওতাধীন যে সকল এলাকা রয়েছে সে সকল এলাকার স্থানীয় লোকদের সাথে উক্ত ব্যপারে তাদের বা কতটুকু সমস্যা হয় জানতে চাইলে তাদের পক্ষ হতে ক্ষিপ্ততার মনোভাব প্রকাশ পায়,এ যেনো ঝড় হওয়ার মতন।তারা এক কথায় জবাব দেয়,তাদের যন্ত্রনায় জনজীবনে স্বভাবিক চলাচল আজ হুমকির মুখে,এমনকি তারা এই সকল ঝুকিযুক্ত রাস্তা হতে সুন্দর স্বাভাবিক পথ চলাচলের জন্য সড়ক চাহিয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন করিয়া তাদের মতামত প্রকাশ করেন।
Leave a Reply