রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ইসমাইল হোসেন
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজের পিডি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে দরপত্রে দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণ পায় মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। পরে তাকে পিডি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান যখন সিভিল সার্কেল-একের দায়িত্বে থাকাকালে অযোগ্যতা দুর্নীতি ও খামখেয়ালীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে বেবিচকের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্ব না দিতে বলা হয় তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে।
কিন্তু তারপরও নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়াই শুধু নয়, বর্তমানে সরকারের বেশ কয়েকটি হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন দোষী প্রমানিত হওয়া প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।
বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাকে হাত করে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। হাবিবুর রহমান পদোন্নতির পাশাপাশি কৌশলে তিনি বাগিয়ে নেন বেবিচক’র বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের দায়িত্ব। আর একের পর এক মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে এসব প্রকল্প। শুরুতেই তার বিরুদ্ধে উঠে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণ প্রশ্নে দুর্নীতির অভিযোগ। সব রকম প্রক্রিয়া শেষ করে অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য বাবদ ৫০ কোটি টাকা সরকারীভাবে দেয়া হলেও ঘুষ বাণিজ্যের আশায় সেই চেক ছাড়করণে বিলম্ব করেন হাবিবুর।
এমনকি উল্লেখিত হাবিবুরের কারনে একপর্যায়ে পিছিয়ে যায় অধিগ্রহণ। এরইমধ্যে অধিগ্রহণ মূল্যবাবদ ৩ গুন মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত আসে সরকারীভাবে। এতে করে ১শ’ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয় সরকারকে।তবে এ যেনো আকাশ ছোয়া দুর্নীতি।
Leave a Reply