ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুঃ আতাউর রহমান আজ ৩০ জুন পি আর এল-এ গেছেন। কে হচ্ছেন নতুন রেজিস্ট্রার এ নিয়ে সর্বত্র গুন্জন চলে সারাদিন। দুপুর দুই ঘটিকায় সকল আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটে একটা চিঠির মাধ্যমে। মুঃ আতাউর রহমানকে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার ২/৬/২১ তারিখে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, আপনার পি.আর.এল কালীন অর্থাৎ ৩০/৬/২১ হতে ২৯/৬/২২ তারিখ পর্যন্ত আপনার স্বপদে প্রাপ্ত বেতন ভাতায় কাজ করার অনুমতি দেয়া হলো। এ সময় আপনি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের চলমান দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য অতিরিক্ত বেতন/ভাতা/পারিশ্রমিক প্রাপ্য হবেন না।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বিধান অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
পত্রটি প্রকাশ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। অধিকাংশ জেষ্ট্য কর্মকর্তার দাবী বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী বিধিমালা অনুসারে এই পত্রের কোন আইনগত ভিত্তি নেই। উত্থাপিত অভিযোগের আইনগত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলে জনাব আতাউর রহমান বলেন, কোন্ আইনে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেন। আমি চিঠি পেয়ে দায়িত্ব পালন করছি এর বেশি বলতে পারবো না।
ইবির স্মরণকালের অভিজ্ঞ সাবেক রেজিস্ট্রার ড. মোসলেম উদ্দিন বলেন,”পি আর এল বাতিল করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। পিআরএল অবস্থায় সুযোগ নেই। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিবর্তন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।”
প্রগতিশীল সিনিয়র শিক্ষকগন বলেন, রতনে রতন চেনে। আতাউরের বিরুদ্ধেও নারী ক্যালেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই কাজের মেয়ে সহ তাকে কুষ্টিয়া সদর থানায় আটক রাখা হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন,”কোথায় নিষেধ আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকারে কাজ করার অনুমতি দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো অহরহ দেয়।”
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডজন খানেক দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের অনেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সাথে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। একে কর্তৃপক্ষের নজীর বিহীন বে-আইনী অনুমতি হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
Leave a Reply