বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন
শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ শাররিক সর্ম্পকের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নে আটপাড়া গ্রামের আটোচলক বাবুল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন- তাঁর মেয়ে বাড়ৈগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ে, স্কুলে যাওয়া-আশার সময় আমার মেয়েকে ওই গ্রামের আহম্মদ হাওলাদারের ছেলে নাসির আহম্মেদ ওরফে সুজন গোপনে ও প্রকাশ্যে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতে। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাকে জানালে আমি ও আমার স্বামী সুজন ও তাঁর পরিবারকে অনেক বার সর্তক করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
এভাবে চলতে থাকায় আমাম বয়স কম বলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সুজন সুকৌশলে আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কু-বাসনা পুরনের উদেশ্যে গোপনে ওর সঙ্গ দেওয়ার জন্য রাজি করিয়ে ফেলে।
গত রবিবাব ভোরবেলায় সুজন ও তাঁর কয়েক জন বন্ধু মিলে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমনটি দেখতে পেয়ে ওই এলাকার বোরহান নামের এক লোক আমাদের নিকট খবর দেয়।তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে আমি ও আমার স্বামী দৌড়ে রাস্তায় গেলে সুজন ও তাঁর বন্ধুরা পালিয়ে যায়। আমরা আমাদের মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি।
এর পরে গত বুধবার বাড়ৈগাঁও স্কুলে বাড়ীর কাজের খাতা জমা দিতে গেলে সেখান থেকে সুজন তাঁর বন্ধদের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে মটরসাইকেলে করে নিয়ে পালিয়ে যান। আমি অনেক খোঁজা খোঁজি করে ও আমার মেয়েকে না পেয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্যদেরকে যানাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য তপনের ভাই সুজন তাই তপন বলে এনিয়ে এতো বারাবারির কিছু নেই।এমনকি মেয়ের বাবা মা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে তাহারা উল্লেখিত গন্যমান্য ব্যক্তিগনেরা থানায় তাদেরকে নিষেধ করে।
পরবর্তীতে ওসি সাহেবের সহযোগিতায় লৌহজংয়ের একজায়গা থেকে অভিযোগকারী গনেরা মেয়েকে শাররিক অসুস্থ্য অবস্থায় খুজে পান।রবর্তীতে তাদের মেয়েকে পাওয়ার পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন এবং উক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নত চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল ঢাকায় প্রেরণ করেণ।
এবিষয়ে ভোক্তাভোগির মা আরোও জানান- তাঁর মেয়েকে সুজন আগামী ১(এক) বছর পরে বিবাহ করিবরবলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের মেয়ের সাথে শাররিক সর্ম্পক করে। এনিয়ে মেয়ের পরিবার থানায় মামলা করতে চাইলে ইউপি সদস্য তপন এলাকার বিল্লাহ ও লিটনসহ কয়েক জনকে দিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন এবং শালিশ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এই শালিসের নাম করে উল্লেখিত প্রতারনার স্বীকারদের অদ্যবদি ঘুরাচ্ছেন।
এ বিষয় নাসির আহম্মেদ ওরফে সুজনের কাছে জানাতে চাইলে সে বলে আমি ওকে ভালোবাসি ওকে বিবাহ করব কিন্তু কিছু সময়ে পর।আর তাঁর ঘোষনা দেয়া সময়ের কারণ জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন যে,তাঁর তথা সুজনের পরিবার ও মেম্বার ভাই তপন বিষয়টি ভালোবাবে মেনে নিচ্ছেনা বলে জানান।
এ বিষয় নিয়ে আটপাড়া ইউপি সদস্য তপন এর মুঠোফোন ০১৭১০০০০০০০০ উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও উক্ত বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রহস্য জনক কারণে ফোন কলটি রিসিভ করেনি।
এমনকি উল্লেখিত বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলেও তিনি বলেন- করোনার মধ্যে কিসেরে চোদাইনা বিচার থো‘হালাইয়া,কয়দিন পরে এমনিই ঠিক হয়ে যাইবনে। এডি একটাও ভালো না।
তবে এ বিষয় শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সর্বাত্বক সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিঃদ্রঃ ছবিটি নিজস্ব অঙ্কনে আঁকা।
Leave a Reply