ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ ১ হাজার ৮ শত ১৪টি পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় দেখা গেছে ভিজিএফের চাল সংগ্রহে আসা লোকজন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
রবিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকার সময় গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভিজিএফের চাল কেউ পাচ্ছে, আবার কেউ পাচ্ছে না। চাল না পাওয়ায় অনেকেই অভিযোগ জানান বাংলার চোখকে। এ সময় ভিজিএফ চাল সংগ্রহে আসা অনেকেই চাল পেয়ে নিরাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
এদিকে টাঙ্গাইলে করোনা সংক্রামণ প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে এবং সংক্রামিত হয়ে প্রতিদিনই প্রায় অনেক লোক যাচ্ছে। তবুও ভিজিএফ চাল সংগ্রহে আসা লোকজনের স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই বললেই চলে। এমনকি অনেকে মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেহ। আর সামাজিক দূরত্ব তো মানছেনই না। এ সময় ভিজিএফ চাল সংগ্রহে আসা লোকজন গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়েছে যা প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী একজন জানান (মহিলা) আমি কয়ড়া বকচড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমার স্বামী ব্রেইন্ডে সমস্যা, সে কোন কাজ করতে পারে না। আমি মেম্বার ও চেয়ারম্যান দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটি চাউলের কার্ড পাই নি। আমার ঘরে খাবার নেই, আমার এই ঈদে ঈদ আনন্দও নেই। আমি এখন পোলাপান নিয়ে ঈদে কি করমু, কি খামু।
গোবিন্দাসী ইউপি ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার, আনোয়ার হোসেন জানান, অসহায় ও দুঃস্থ ১৭ শত পরিবারের জন্য ভিজিএফ চাউল বরাদ্ধ রয়েছে এবং প্রত্যেকটি পরিবার ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন ঐ সময় ত্রাণ বিতরণ করা হয়, যখন দুর্যোগ আসে।আর মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা বেশি থাকায় সবাই একত্রে আসে। আমরা এমন একটা সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি, লকডাউনেও দেখা গেছে কেউ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার করছে না। আমরা প্রত্যেককে সচেতন করতেছি এবং প্রায় ২০০ মাস্ক বিতরণ করেছি।
গোবিন্দাসী ইউ.পি চেয়্যারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান (বাবলু) বর্তমান জনজীবন কে জানান, ঈদ উপলক্ষে সরকার কর্তৃক ১ হাজার ৮ শত ১৪টি পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার (১৯ জুলাই) অসহায় ও দুঃস্থ ৭০০ পরিবারক ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
Leave a Reply