বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জাকির লস্করঃ
নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কারণে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরাও আমাদের থেকে পিছিয়ে গেছেন, দাবি সুশীল সমাজের।
জনগণের পাশে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা বলে দাবি করছেন এই সুশীল সমাজ,পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়া্নোর জন্য মত প্রকাশ করেছেন।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর করোনার ভয়ে ঘর বন্দি, মানুষের মাঝে বিরাজ করছে নানা শঙ্কা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ গুলো পড়েছেন বিপাকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থিরা গতবছর লকডউনে জনগণের পাশে থাকলেও এবছর পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের আর দেখাই মিলছে না। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেউই খোজ নেয়নি কর্মহীনদের।
করোনা ভীতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঘর থেকে বের হচ্ছেন না উপজেলার অধিকশং জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক । সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে নেমেছিল প্রচার প্রচারনায়। ছিলো সম্ভাব্য প্রার্থীদের কুশল বিনিময় ও ভোটারদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়। তবে লকডাউনের এই সময়ে জনগণের পাশে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান- মেম্বার প্রার্থীরা ।
এনিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। লকডাউন চলছে, এ সময়ে জনপ্রতিনিধি জনগণের পাশে থাকবে এমনটাই আশা করেন জনগণ।তবে যে সকল জনপ্রতিনিধি জনগণের পাশে থাকবে বা আছে তাঁরাই জনপ্রতিনিধিত্বের দাবি রাখবেন বলে প্রত্যাশা জনগনের।
তবে যাঁরা গরিবের হক মেরে খেয়েছেন কিংবা জনগণ থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন, জনপ্রতিনিধি দাবি করার অধিকার তাঁদের নেই বলে মনে করেন সুশীল সমাজের জনগনেরা।
এ ব্যপারে এলাকাবাসীরা আরো জানান যে, এই সকল নেতাদেরই ভোটের সময় জনগণের জন্য জীবন দিয়ে দেয়ার ঘোষণা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।তাছাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের কিছু রুটিন কাজ করলেই চলেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশিত করেন।
কিন্তু যখন দেশে দুর্যোগ আসে, সেটি হতে পারে প্রাকৃতিক কিংবা মানব সৃষ্ট, তখন জনপ্রতিনিধিদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।আর তাতে জনগনদের আক্ষেপ প্রতিফলিত হয়।সুশীল সমাজের লোকেরা মনে করেন যে, নির্বাচণ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরাও তাদের আখের গুটিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেন জনগনদের কাছ থেকে।এতে করে জনগনদের মনের মধ্যে আরো চরম বিতর্কের মধ্যে পড়ে যান সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
Leave a Reply