মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ নাহিদুল ইসলাম
ঢাকার দক্ষিনাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ ও প্রধান সড়ক যাত্রাবাড়ী হতে শুরু হয়েছে।যেখানে প্রতি দিন প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াত রয়েছে।আর তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক বহিরাগত।তারা তাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বানিজ্যের জন্য বা কর্ম কাজের জন্য ঢাকা আসেন।যেখানে ঢাকায় বহিরাগতদের অনেকের কোনো আত্বীয় স্বজন থাকেনা,যার দরুন সেই সকল মানুষদের বিভিন্ন ধরনের আবাসিক হোটেল গুলিতে থাকতে হয়।
আর যখনি এই সকল লোকদের থাকার শেষ স্থান টুকু অশ্লীল দেহ ব্যবসায় জর্জরিত ও নিমজ্জিত থাকে তখন তাদের করুন অবস্থা কারোরি বোধগম্য নয়।
তাছাড়া যে সময় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী,বাংলাদেশের যুবসমাজের এক আদর্শিক ও পরিশ্রমী রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের সকল সমাজের উপর থেকে তথাপি বিশেষ করে যুব সমাজ যাতে কোনো কালো ভয়াল থাবায় তাদের সারাজীবন নষ্ট হয়ে না যায় সেদিকে সুদৃষ্টি রেখে দেশকে এক সোনালী স্বপ্নের দেশে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে দিন রাত অনিদ্রায় কাটিয়ে দিচ্ছেন।
যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ স্বধীন বাংলার সকল যুবককে তার সন্তানের মত করে দেখেন বিধায় তাদের জীবনের পথকে সহজ থেকে আরো সহজতর করে দেয়ার প্রত্যয় ও সংকল্প নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন,এমনকি সকল যুব সমাজকে ধংসাযজ্বক ভয়াল মাদকের হাত থেকে দূরে রাখার চেষ্টায় জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিয়ে যে সকল বর্ডার হতে মাদক এ দেশে প্রবেশ করে তার প্রত্যেকটি পথ বন্ধ করে দিয়ে যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তা সত্যি প্রসংশ্নীয়,এমনকি যা বিগত দিনে কোনো সরকার এই ধরনের প্রদক্ষেপ হাতে নিয়ে ও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
ঠিক এই সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই সকল আবাসিক হোটেল গুলিতে এক সামাজিক হোটেলের নেমে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছেন,পাশাপাশি যার নেশায় অধিকাংশ যুবকই চরম ধংসের দিকে ধাবিত হচ্ছেন।তাছাড়া কিছু আবাসিক হোটেল গুলি আবার এই সকল অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে থেকে এক সুন্দর ও স্বাভাবিক এবং হালাল ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
এই ব্যপারে ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে এই সকল আবাসিক হোটেল গুলিতে গোপনভাবে নানান চিত্র দেখতে গিয়ে দেখা যায় যে অধিকাংশ আবাসিক হোটেল গুলিতেই যার যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড জুলানো রয়েছে।কিন্তু যাত্রাবাড়ীর বলাকা আবাসিক হোটেল’টিতে নেই কোনো সাইন বোরড।এমনকি এই বলাকা আবাসিক হোটেলে একাধিকবার প্রশানের পক্ষ হতে যেমন র্যাব-১০,ওয়ারী ডিসি,এমনকি স্থানীয় যাত্রাবাড়ী থানা হতে বহুবার অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে ও এই সকল দেহ ব্যবসা থেকে শুরু করে নানান অপকর্মে’কে থামাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলাকা আবাসিক হোটেলটিতে।
তাছাড়া ৪০/২,উত্তর যাত্রাবাড়ী হোল্ডিংয়ে অবস্থিত সামিউল্লাহ প্লাজায় বিভিন্ন ধরনের হাসপাতাল,ব্যাংক সহ নামীদামী অনেক মোবাইল কোম্পানীর প্রতিষ্ঠান রয়েছে।তার ঠিক লিফটের ৪ এ এই বলাকা আবাসিক হোটেলটি অবস্থিত।আর এই আবাসিক হোটেলটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের অনুমুতিবিহীন দুইটি মিনি সিসি ক্যামেরা রয়েছে।যাতে করে সকল ধরনের অশুভ সংকেত হোটেল মালিক পক্ষ ভিতরে বসে দেখতে পারেন।এমনকি যদি কোনো প্রশাসনিক গাড়ি বা সাংবাদিকের উপস্থিতি তারা দেখতে পান,তাহলে দ্রুত সকল দেহ ব্যবসায়ী নারীদের তারা সরিয়ে ফেলেন।
তাছাড়া উক্ত বিল্ডিংয়ের ৪তলায় পর্দা দিয়ে বেষ্ঠিত এই অসামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার সঠিক কোনো তথ্য আদৌ বাড়ীওয়ালা জানেন কিনা তা জানা যায়নি।তবে উক্ত হোল্ডিংয়ে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড তারা সকলেই এই অসামাজিক ব্যবসার কথা আগে থেকেই জানতো।
তাদের এই সকল অসামাজিক দেহ ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়ে উল্লেখিত স্থানে বসবাসরত সকল এলাকাবাসীর সন্তানদের এবং বিশেষ করে যুবকদের আগামী সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে উক্ত এলাকা অন্তর্গত প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি স্ব-হৃদয় বিবেচনার ও ব্যবস্থা গ্রহনে অনুরোধ জ্ঞাপন করে স্থানীয় অধিকাংশ মানুষ তাদের মতামত পেশ করেছেন।
Leave a Reply