রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
স্বাধীন বাংলার রাজধানী হচ্ছে ঢাকা,ঠিক তেমনি ঢাকা ওয়াসার কাওরান বাজারে অবস্থিত প্রধান অফিসের দ্বিতীয় মুল অফিস হিসেবে যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ঢাকা ওয়াসা মডস এবং জোন ১ ও ৭ রীতিমতো বহুল আলোচিত হয়ে উঠেছে।কেনোনা যেখানে শতের অধিক লোকের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা বর্তমান সরকার বহু আগে থেকে করে দিয়েছেন।আর সরকারের দেয়া এই সকল কর্মকর্তাদের দ্বারা বহু আগে থেকেই সরকারী নিয়মের বাহিরে থেকে অজস্র অনিয়মের প্রমান পাওয়া গেছে এমনকি যা সর্বদাই চলমান রয়েছে,যা উল্লেখিত অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সর্বদাই অবগত রয়েছেন।
শুধু তাই না,উল্লেখিত অফিসের অন্তর্গত সকল পানি সেবা নেয়া গ্রাহকদের বিল তৈরি থেকে শুরু করে পাবলিস্ট হওয়ার পর প্রতিটি গ্রাহকদের সেগুলো পৌছে দেয়া পর্যন্ত প্রতিটি টেবিলে টেবিলে চলে অর্থের লেনদেন।অফিসের এই কার্যক্রম শেষে পরবর্তীতে তার চেয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি চলে বিল প্রদান ক্ষেত্রে।
এ বিষয়ে উক্ত অফিসের অধিকাংশ বিল প্রদানকারী কর্মকর্তারা গ্রাহকদের বিল প্রদান করার কাজে নিয়োজিত করে দেন তাদেরি নিজ নিজ সহকারী,যারা নাকি উল্লেখিত অফিসের মাস্টার রোলে কর্মরত নন,এমনকি সরকারের পক্ষ হতে উল্লেখিত কর্ম পরিচালনা করার ক্ষমতাও রাখেন না।অথচ উল্লেখিত বহিরাগতদের কথায় প্রায় শতভাগ গ্রাহকদের নিকট সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের কাগজ প্রদান করে আসছেন বহু বছর ধরে,যা নাকি আইন বহির্ভূত ও গর্হিত দণ্ডনীয় অপরাধ।
আর এই সকল অনিয়মের কারনে বছরে বছরে সরকার হারাচ্ছে তার রাজস্ব খাতের কোটি কোটি টাকা।তাছাড়া এই ব্যপারে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) এ লিখিত আকারে এক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি টিম সেই বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।তারিই পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুজসাদাত এর প্রচেষ্টায় উল্লেখিত অফিসের নানান দুরনীতির ছক বেরিয়ে আসে।এমনকি সেখানকার নানান ধরনের দুর্নীতি ও সরকারী অর্থ আত্বসাতের প্রমান মিলে,যা পরবর্তীতে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় দুরনীতির সকল ঘটনার বিস্তারিত দেয়া হয়েছিলো।
পত্রিকায় প্রকাশের পরবর্তীতে কিছুদিন থেমে থাকলেও সেটার স্থায়ীত্ব বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।তারপর আবার এক লিখিত অভিযোগের ন্যায় দুদক থেকে পুনরায় একটি টিম এসেও বিগত দিনের ন্যায় দুরনীতির প্রমান পায়,যা দুদক এর নিজস্ব আর্কাইভ এ পাবলিশড হয়।
তবে এই বিষয়ে কোনো প্রকার কর্ণপাত করতে নারাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই।তাই এই বিষয়ে সরকার সহ প্রধান অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরদারী রেখে রাজস্বখাতে আর্থিক বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একটি সঠিক সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষার অপেক্ষায় জনসচেতন মানুষদের আকাংখা প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply