মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
নবাবগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
নবাবগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম পিতা মৃত আজিজুল হক মাতা ছাহেরা বেগমের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী মোঃ আইয়ুব হোসেনদের অর্ধ নির্মীত ভবনসহ ২০ শতক জমি জোর পূর্বক দখলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাইফুলের আপন বোন মোসাম্মত ছাহেরা খাতুন হতে ক্রয় সুত্রে মালিক হন শেখ ইমরান পিতা, আইয়ুব হোসেন। জমি ক্রয়ের পূর্বে আইয়ুব হোসেন সাইফুল কে জমিটি ক্রয় করবে কি না জানতে চাইলে সে জানায়, টাকা নেই ক্রয় করতে পারবোনা না। অতপর ৩৭০৩ নং দলিল মূলে আমমোক্তারীয় শাহিনের মাধ্যমে শেখ ইমরান পিতা, আইয়ুব হোসেন জমির মূল মালিক আছমা হতে দুই খতিয়ানে ৪+৪ = ৮ শতক জমির মালিক হন। আর এস রেকর্ডীয় মালিক আঃ আজিজ পিতা, ফৈজদ্দিন হতে ১৪২৫ নং দলিল মূলে ও শতাংশ আঃ বারেক পিতা, কালা মিয়া হতে ৪৪৯৮ নং দলিল মূলে হাজেরা খাতুন স্বামী আঃ বারেক ক্রয় সুত্রে মালিকানা অর্জন করেন।
মোসাম্মত হাজেরা খাতুন হতে ১৪৭ নং দলিল মূলে মালিক হন সাইফুলের মাতা মোসাম্মত ছাহেরা বেগম স্বামী মোঃ আজিজুল হক। সাইফুলের মাতা ছাহেরা বেগম তার কণ্যা আছমা আক্তার ও পতি আঃ রহিমের নিকট ১১৬৭ নং দলিল মূলে বিক্রি করেন। সাইফুলের বোন ও তারা স্বামী যৌথভাবে মালিকানা অর্জন করলেও আঃ রহিম ৯৪০ নং হেবা বিল এওয়াজ দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা স্ত্রী ছাহেরা বেগম বরাবর হস্তান্তর করেন। আছমা সম্পূর্ণ মালিকানা অর্জন করে নামজারী ও জমাভাগ কেইস নং ৯২৪( চু)/১৬-১৭ , খতিয়ান নং ৭৮ ও ৪২২ দাগ নং ১৩৭ ও ১৩৭ দুই দাগে ২০ শতক জমি নিজ নামে রেকর্ডভূক্ত করার পর ৫০৪৯ নং রেজিঃ আমমোক্তারনামা দলিল মূলে মোঃ শাহিন কে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে, আম মোক্তারীয় শাহিনের মাধ্যমে ৮ শতক জমি ১২০০০০০ লক্ষ টাকায় সাব-রেজিষ্টীয় দলিল মুলে ইমরানের নিকট বিক্রী করে দখল বুঝিয়ে দেন। শেখ ইমরান দখল বুজে পেয়ে নামজারী ও জমাভাগ ৫১১/১৮-১ ৯ নিজ নামে ১৩৭ নং দাগের ৮ শতক জমি রেকর্ডভূক্ত করান ইমরান দীর্ঘ দিন দখলে থাকার পর ৮ শতক জমির ওপর ভবন নির্মাণ শুরু করলে অর্ধ নির্মীত অবস্হায় হঠাৎ করে তার লোকবল সাথে নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাদা দাবি করে বসেন, চাদা না দেওয়ায় জমিটি তার নিজের দখলে রেখে নিজের বলে দাবি করতে থাকে।
সাইফুলের বোন ছাহেরা হতে জমিটি ইমরানরা ক্রয়ের পূর্বে তাকে অবগত করলেও সে জমিটি ক্রয়ে অনিহা দেখায়, এর মধ্যে সে ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলে তার ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় জমিটি নিজ দখলে নিয়ে নেয়। ভূক্তভোগী আইয়ুব স্হানীয় পরিষদ থেকে শুরু করে কোথাও পাত্তা পাচ্ছেননা, কারন সাইফুল জেলা পরিষদ সদস্য, নবাবগঞ্জ থানা আওয়ামী নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি। দখলকৃত জমিটি সাইফুলের মা তার বোনের নিকট দলিল মূলে বিক্রী করার পর শেখ ইমরান তার বোন ছাহেরা হতে ক্রয় সুত্রে মালিক হলেও সাইফুলের দাবি জমিটি তার। গন্ড মূর্খ ৮ম শ্রেণী পাশ সাইফুল জেলা পরিষদের সদস্য পদের ক্ষমতা দেখিয়ে তাদের কে জমি ছারবে না বলে আস্ফালন দেখিয়ে যাচ্ছে। সে ও তার বাহিনীর ভয়ে থানা বা আদালতে মামলা করার সাহসও পাচ্ছেন না ভূক্তভোগী ইমরান পরিবার।
ইমরানের পিতা আইয়ুব হোসেন বলেন, সাইফুল জেলা পরিষদের ক্ষমতা বলে আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে, আমাদের সকল কাগজ পত্র শত ভাগ সঠিক, আমরা নামজারী করে সরকার কে নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি। ভবন নির্মাণ কাজ চলাকালীন সাইফুল জেলা পরিষদ মেম্বার হলে তার গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদের মার ধর করে বের করে দিয়ে বলে, থানায় গিয়েও কোন লাভ হবেনা, এই এলাকা আমার কথায় চলে।
এ ব্যপারে আইয়ুব হোসেন মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা,স্হাণীয় সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমানের নিকট বিচার দাবি করেন।
Leave a Reply