বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

শিরোনামঃ
শ্রীনগরে মাহফিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত শ্রীনগরে মাসিক শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সাইট পরিবর্তনে এক কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ শ্রীনগরে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা শ্রীনগরে কুকুটিয়ায় দোয়া ও আলোচনা সভা  ৭ই নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লবী দিবসের আনন্দ মিছিল  বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে  বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা শ্রীনগর মোবাইলকোট পরিচালনা করে ৬ টি মামলায় নগদ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত ঢাকা -৬ আসনের মানুষদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাবেক তিনবারের সফল কাউন্সিলর আবুল বাশার

বিজ্ঞাপন

নেত্রকোনায় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের এক সহ-বন্ধী হেলাল খাঁর পরিবার

নেত্রকোনায় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের এক সহ-বন্ধী হেলাল খাঁর পরিবার

 

 

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ মহিউদ্দিন তালুকদার

 

 

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি তার গোটা জীবনের অধিকাংশ সময়ই কারাগারে কাটিয়েছেন। উনার বন্দি জীবনের ছায়া হয়ে ছিল নেত্রকোনা সদর উপজেলার ভুরখিলা গ্রামের হেলাল উদ্দিন খান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন তখন সেই কারাগারের মেটের দায়িত্বে ছিলেন ,ষড়যন্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক জনআসামী তিনি হলেন হেলাল উদ্দিন খা। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা যখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতো তখন হেলাল উদ্দিন খা বঙ্গবন্ধুর কষ্ট লাগবের জন্য তাকে যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিতে ধুর সাহসিকতার সাথে কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্য শাস্তি হতে রক্ষা করতেন বঙ্গবন্ধুকে।

এইভাবে কারাগারে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ফরমায়েশ তামিল করে তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করত, সেবা সুশ্রুষা করেন। পরে বঙ্গবন্ধু তাকে বলেছিলেন আমি যদি মুক্তি পাই আর তোমার যদি সাজা শেষ হয়, কারাগারের বাইরে যদি আমাদের সাক্ষাৎ হয় তবে তোমার জন্য আমি মজিবুর রহমান আছি।

পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বঙ্গবন্ধু যখন নেত্রকোনার কলেজ মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এমন সময় মঞ্চের সামনে ফুলের মালা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হেলাল খা সেই কারাজীবনের সেবক হেলাল খাঁ কে দেখতে পায়, তিনি তাকে চিনতে পেরে তাকে কাছে ডেকে নিলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এবং তাকে ছেলের মর্যাদা দিলেন ছেলে বলে ডাকলেন এবং বললেন আজ হতে তুমি আমার ছেলেl এই বলে বুকে জড়িয়ে নিলেনl

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হেলাল খা র সঙ্গে সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখতেনl একবার কম্বল বিতরণ এর সময় তাকে একটি কম্বল উপহার দিলেনl যখনই খবর পাঠাবো তুমি আমার কাছে যাবে আমি তোমাকে কখনো ভুলবো না।, আমি তোমার বাবার মত। তুই আমার নিজ সন্তান স্বরূপ কখনো দিদা গ্রস্থ করবিনা কোন প্রয়োজন হলে এই বাবাকে বল । যখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হেলাল উদ্দিন খাঁ দেখা করতে যেতেন বলতেন বাবা তোমার জন্য কি আনব তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন কিছু আনতে হবে না শুধু এক মুঠো কাঁচা মরিচ আসার সময় নিয়ে আসিসl l হেলাল উদ্দিন খা রাজনৈতিক স্বার্থে সম্পৃক্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণের ফলে তার জন্য কিছুই করে যেতে পারেননি।

এদিকে হেলাল উদ্দীন খা কেউ বঙ্গবন্ধুর মতো গুপ্ত হত্যা করা হয় বলে জানা যায় l ফলে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে, পদে পদে তার পরিবার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয় এতিম বাচ্চাদের নিয়ে বিপাকে পড়ে হেলাল উদ্দিন খার স্ত্রী l

ছোট ছোট সন্তানাদি নিয়ে হেলাল খার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুর্বৃত্তরা দখল করে নেয় তাদের বাড়িঘর সহায় সম্পদll নিজস্ব কোন বাড়িঘর নেই তাদের। কিছুদিন হল বঙ্গবন্ধুর সাথে হেলাল খা সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেll নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বরাবর হেলালুদ্দীন খা র ছেলে হালিম খা কর্তৃক স্বাক্ষরিত সাহায্য চেয়ে এক আবেদন করা হয়। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এক লক্ষ টাকার একটি চেক উপহার দেয় এই টাকা দিয়ে একটি অটো রিস্কা কিনে মা দুই ভাই এবং সন্তানাদি নিয়ে জীবন যাপন করছেl হেলাল উদ্দিন খানের স্ত্রী l

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হেলাল খানের বিধবা স্ত্রী রাবেয়া খাতুন মিনতি করছে তারা যেন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে তাদের প্রতি যেন সুদৃষ্টি দেওয়া হয়।

হেলাল উদ্দিন খা র ছেলে হালিম খা বলেন আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগারে বিভিন্নভাবে সেবা শুশ্রূষা করেছেন, এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, আমার পিতার মৃত্যুর পর আমাদের জমি সম্পত্তি অন্যরা ভোগ দখল করছে আমরা সমাজে অবহেলিত অবস্থায় জীবনযাপন করছি, আমাদেরকে সমাজে মাথা উঁচু করে যেন বেঁচে থাকতে পারি এমন একটি ব্যবস্থা যেন তিনি করে দেন।

মরহুম হেলাল কার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নেত্রকোনা সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা থানা কমান্ডার আইয়ুব আলী বলেন আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন জেল খেটেছেন শুধু রাজনৈতিক কারনেl বাংলাদেশের মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন নিপিরণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বঙ্গবন্ধু যখনই জেলে যেতেন হেলাল সাহেবকে কাছে পেতেনl বঙ্গবন্ধু বলেছেন আমি যদি জেল থেকে মুক্তি পাই দেশ যদি স্বাধীন হয় ,তুমি সাক্ষাৎ করো তুমি সাক্ষাৎ করার পরে আমি তোমার জন্য ব্যবস্থা করে দেবো l তো আজকে হেলাল সাহেব নেই তার সন্তানাদি রা আছে আমি যতদূর জানি বঙ্গবন্ধুর যদি আজকে থাকতেন তাহলে হেলাল সাহেবের দায়িত্ব নিতেন দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আর নেইl আমি আজ এটাই বলব তার পরিবারের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় হওয়া উচিৎl প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন যে কোনভাবেই এই পরিবার টার সহযোগীতা করেl
এ বিষয়ে সততা জানিয়ে এলাকার আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান হালাল খাঁ র অবদান অপরিসীম নেত্রকোনা হেলাল খান আমাদের গর্ব ইতিহাসের পাতায় তার নাম নেই আমরা তাঁহার পরিবারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করিl

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




সম্পাদক ও প্রকাশক

No description available.

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ ইঞ্জিঃ সোহরাব হোসেন শাহেদ

সহঃ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ রিফাত আহম্মেদ

নির্বাহী সম্পাদকঃ মোল্লা মোহাম্মদ হাসান

বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ লস্কর আলী

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ সগির আহম্মেদ

অফিসঃ৪৮/বি, পশ্চিম যাত্রাবাড়ী,ঢাকা-১২০৪।

ওয়েব সাইট-www.bortomanjonojibon.com

নিউজ মেইলঃ newsbortomanjonojibon@gmail.com

যোগাযোগ- ০২-৭৫৪২৩১২

এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs