রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক যুবককে চোখ উঠিয়ে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার(১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের মধ্য বাঘড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী যুবক শাকিল হোসেন বাদী হয়ে জসিমসহ ৮জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী শাকিল হোসেন এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নিজ বাড়ী থেকে একই এলাকার রাসেলের মুদি দোকানের সামনে ইটের রাস্তার উপর দাড়ায়। এ সময় বাঘড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাঘড়া এলাকার মালেকের ছেলে জসিম(৩৫), হৃদয়(২৮), বিজয়(৩০),কাশেম মোড়লের ছেলে বিকাশ(৩০),হাছেন বেপারীর ছেলে কাউসার(২২), এছাহাকের ছেলে সাজ্জাদ(২৪), আনোয়ার এর ছেলে ইমন(২২), মোখলেছ মোড়লের ছেলে নাহিদ(২৪)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ মোটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে এসে পূর্ব শত্রæতার জের হিসেবে শাকিলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং জসিম অস্ত্র প্রদর্শন করে বলে ঐ শাকিলকে ধর! তখন শাকিল দৌড়ে আহাম্মদ খান বাড়ীর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয়, বিকাশ ও বিজয় হাতে অস্ত্র উ”ু করে বলে এই শাকিল দাড়া? না দাড়ালে গুলি করবো বলে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। ঐ সময় জসিমগং আহাম্মদ খানের ঘরের টিনের বেড়ায় পিটায় এবং বলে এখন হিজরার মত দৌড়ে পালালি কেন তোকে ধরতে পারলে চোখ দুটো উঠিয়ে ফেলতাম।
স্থানীয় আহাম্মদ খান(৭৭) জানায়, আমি মুন্সীগঞ্জ থেকে মাত্র বাড়ীতে আসছি। দেখি শাকিলকে আমার বাড়ীর উপর দিয়ে দৌড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম। এই কি হয়েছে। তখন তারা বলে মুরুব্বী আপনি বুঝবেন না। পরে স্থানীয়রা জানায় পশ্চিম বাঘড়ার জসিমগং শাকিলকে মারার জন্য অস্ত্র দেখিয়ে দৌড়াতে ছিল।
মধ্যবাঘড়া এলাকার আবু কালামের ছেলে জাকির হোসেন জানায়, আমার দাদীর জানাজা শেষে লাশের খাটিয়া কাঁদে নিয়ে আমিসহ আরো অনেক লোক কবরস্থানের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় দেখি পশ্চিম বাঘড়ার হৃদয়, বিকাশ ও বিজয় হাতে অস্ত্র উ”ু করে বলে এই শাকিল দাড়া? না দাড়ালে গুলি করবো বলে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে এবং শাকিলকে ধরতে না পেরে আহাম্মদ খানের ঘরে টিনের বেড়া পিটাইতে থাকে।
এব্যাপারের বাঘড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এঘটনার কথা শুনিনি। আর কেউকি অস্ত্র দিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনা দেখেছেকি।
এব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।
Leave a Reply