রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন
শ্রীনগর(মুন্সিগনঞ্জ)প্রতিনিধিঃ-
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরের একাধিক মামলার সাজা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলা যুবদলের সাবেক ১নং যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান। শুধু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোই নয়, প্রায়শই ভূমি অফিসে বিভিন্ন ফাইল নিয়ে আসতে দেখেছেন অনেকে। আদালতের নিকট পলাতক আসামী ফিরোজ ভূয়া দলিল সৃজন পূর্বক নামজারী করে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অসখ্য ভূক্ত ভোগি।
তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, প্রতারনাসহ একাধিক মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগিরা। এ সকল মামলায় সাজা ঘোষিত হলেও আইনের চোখ কে ফাকি দিয়ে প্রকাশ্যে চালাচ্ছেন প্রতারনামূলক কর্মকান্ড। ফিরোজ খান উপজেলা কোলাপাড়া ইউনিয়ন মোঃ বারেক খানের ছেলে।
মুন্সিগঞ্জ যুগ্ন জেলা জজ আদালত কর্তৃক তিন টি সাজা ঘোষিত মামলার পলাতক আসামী ফিরোজ খান। জেলা যুগ্ন আদালতের ৬৫/১৯ নং মোকদ্দমায় তার ৩ মাস সাজা ঘোষিত হয়, ৩৭৫/১৭ নং মামলায় ৫ মাস ও আরও একটি প্রতারনার মামলায় তার বিরুদ্ধে ৪ মাসের সাজার আদেশ থাকার পরও প্রকাশ্যে প্রতারনামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছ। চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে পাবনার মিজানুর রহমান নামক এক ব্যক্তি হতে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। লৌহজং উপজেলার রিপন নামক এক ব্যক্তি কে ভূয়া দলিল সৃজনের মাধ্যমে নামজারী করে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেন ৩ লাখ টাকা। লস্করপুরের মোঃ মোফাজ্জ্বল হতে একই কায়দায় ৫০ হাজার টাকা নেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাঁসাড়ার জনৈক ব্যক্তি জানান, আমাকে নামজারী করে দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। তবে চলতি মাসে তার টাকা ফিরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান। কামরাঙ্গীচরের নাসির হতে ২ লাখ টাকা নেন ফিরোজ খান।মোহাম্মদপুরের কামাল হতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল প্রতারনা করতে নিজেকে কখনও উকিল/নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রতারিত হওয়া অর্থ ফিরত চাইতে গেলে সে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুমিন আলী ও তার মামা বিগ্রেডিয়ার মনোয়ার হোসেনের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন।
এ ব্যপারে জানতে ফিরোজ খানের মোবাইল নাম্বােরে বার বার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে ফিরোজের আপন মামা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের সাথে ফিরোজের কোন সম্পর্ক নাই। সে প্রতারনা করায় আমরা তার সাথে সস্পর্ক রাখি নাই।
Leave a Reply