বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
শ্রীনগর( মুন্সীগঞ্জ)সংবাদদাতা:
কলমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে একটি গ্রুপ।চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব শেখের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এ বিষয়ে কলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব শেখ জানান, আমার কোন ড্রেজার নেই। কিন্তু আমাকে ড্রেজারের মালিক বানানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ধার্য্য করা। সেই দিন বিএনপি কর্তৃক খিচুরির আয়োজন করা হয়। সেই খিচুরির আয়োজন বন্ধ করতে বললেই তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে মানব বন্ধন করেছে বিএনপি ও নব্য আওয়ামীলীগার।
আনারস মার্কা নিয়ে ১৬০০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। ১৪০০০ হাজার ভোটের মধ্যে ৬৮০০ ভোট পান আনারস প্রতীক নিয়ে আব্দুল মোতালেব শেখ। অপরদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আমিনুল ইসলাম ওরফে সাগর ফকির নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫২০০ ভোট। স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি মেম্বারগণ জানান, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে সাগর ও কামরুজ্জামান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
সরোজমিন ঘুরে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে তথাকথিত যুবলীগ নামধারী নূর শেখ, মো. ইউনুস শেখ, মো. ইউসুফ শেখ গংদের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ভূমি দখল এবং সাধারণ মানুষসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলমা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
বুধবার সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের শরিফাবাদ এলাকায় ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ করে।
কলমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান অরুন এর নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্যনিবাহী সদস্য কামরুল ইসলাম সাগর ফকিরসহ সর্বস্তরের নারী-পুরুষ।
এ বিষয় সাবেক ওয়ার্ড সদস্য মনির বলেন , আমি সাবেক মেম্বার হিসেবে নয় এলাকার একজন নাগরিক হিসেবে বলবো এমন ভালো চেয়ারম্যান (মোতালেব) হয় না এই বর্বরতার যুগে। এই চেয়ারম্যানের মোতালেবের বিরুদ্ধে যাহারা আছে তাদের কোন ক্লাস নাই । চেয়ারম্যান হিসেবে সঠিক বিচার আচার করেন, মাদক মুক্ত রাখার চেষ্টা করেন বলেই চেয়ারম্যানকে শক্র মনে করে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আমাদের এই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান নেহাত একজন ভালো মানুষ, কোন দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই ভালো কাজ করে করেন বলে কিছু ব্যক্তি তাহার গন্ধ ছড়াতে চাইছেন মাত্র। এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্যও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের দু:খে দু:খে কাজ করে যাচ্ছেন মোতালেব চেয়ারম্যান। এ সকল কারণেই তিনি একটি পক্ষের কাছে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
সাবেক মহিলা মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেযারম্যানের একটা ভালো গুনই হলো তার কাল। যেমন এলাকা শিক্ষা ব্যবস্থায় সহযোগীতা, গরিব মানুষকে সাহায্য করা, কেউ অসুস্থ্য হলে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা, এস এস সি পরিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোজ খবর নেয়া থেকে শুরু করে সকল ভালো কাজে তার বিচরণই ফেল মারাদের মনের বিষ । আসলেই আমাদের চেয়ারম্যানে মতো কোন মানুষ হয় না । এই চেয়ারম্যানের ভোট আর জনপ্রিয়তায় গত পাঁচ বছরে যাহা ছিলো তার দ্বিগুন আছে জনসেবার কারনে। তিনি ্আরো বলেন আসলে ভালো কাজ সবার কাছে ভালো লাগে তার কারন অন্যদের জনপ্রিয়তা কমে যায়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা জয় ৯নংওয়ার্ড সদস্য মোবারক মেম্বারের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের জনান, গত ৫ বছর আমাদের চেয়ারম্যা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভুমিকা পালন করেছে। এলাকার বিচার আচার খুব সুন্র করে চালিয়ে আসছে আর জরপ্রিয়তা আরো বেড়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কুচক্রিমহল হিংসা করে যাচ্ছে।
অত্র ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য হাতেম বাছার বলেন, মোতালেব চেয়ারম্যা প্রকৃতই ভালো মানুষ । শতকরা ৮০জনই ভালো বলতে পারবে , কারণ চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার আচারে সৎ ও যোগ্য একজর জনপ্রতিনিধি মোতালেব চেয়ারম্যান ।
কথা হয় ৩নং ওয়ার্ড সদস্য তাজুল ইসলামের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের ফোন পেয়ে প্রথমেই সাক্ষাত দিতে নারাজ। পরে যখন বলা হয় চেযারম্যান মোতালেবের ভালে এবং মন্দ কিছু বিষয় জানতে চাই। তখন তিনি বলেন এলাকার উন্নয়ন আর বিচার আচার, মাদকের বিরুদ্ধে যোগ্য এক জনপ্রতিনিধি । এলাকাতে এই ভালোকাজের জন্যই তাহার বিরুদ্ধে হাতে গুটি কয়েক নির্বাচনে হেরে যাওয়া শক্রু তাহার বিরুদ্ধে কাজ করছে । এলাকার জনগন বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি সন্তুষ্ট আছে বলেই তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন হেরে যাওয়া নেতারাই আজ চেয়ারম্যানের প্রধান শত্রুতায় রূপ নিয়েছে।
এ সকল বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা হয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব শেখের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কভিট ১৯ এর সময় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদের উন্নয়নের কাজে সর্বাধিক সহযোগিতা করেছি। কয়েকদিন পূর্বে আমি নিজেই একটি ড্রেজার জব্দ করি। এই ড্রেজার চালাতেন জলিল চৌকিদার, রাজিব খান, আয়নাল শেখ, প্রিন্স চাকলাদার। আমার গ্রাম্য পুলিশের সহায়তা নিয়ে এই ড্রেজারটি জব্দ করাই। আমাদের বাবার জনমেও কোন ড্রেজার ছিল না এখনো নেই। আমার ড্রেজার আছে আমি বালুদস্যুতা করি এমন মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাকের হেয়প্রতপন্ন করার চেষ্টা করছে একটি গ্রুপ। এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে আমি বিশেষ ভূমিকা রেখেছি। আমিনুল ইসলাম ওরফে সাগর ফকির উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি সদস্য আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও কামরুজ্জামান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কলমা ইউনিয়নের নির্বাচনী পরবর্তী প্রতিহিংসায় জ¦লে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমার সম্মান হানি করার বৃথা চেষ্টা করছে।
Leave a Reply