বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জাকির লস্কর,মুন্সীগঞ্জঃ
কথিত সাংবাদিক আসাদুল্লাহ সালেহা আক্তার দোলা (২৮) নামের একটি মেয়েকে ঢাকা ভাড়া বাসায় স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করছেন। দোলার অভিযোগ তাকে জোর করে ওই ভাড়া বাসায় বিয়ে না করে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করে আসছেন। এদিকে গজারিয়ায় তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। এমন গুঞ্জন পাওয়া যায় গজারিয়া থানায় কর্মরত একজন নারী কনস্টবলকেও তিনি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। মহিউদ্দিন ঠাকুরের ছত্রছায়ায় আনন্দমেলা সিনেমা হলের তিন তলায় সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুরো রুম এসি লাগিয়ে কতিপয় পুলিশের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। চাঁদাবাজী, প্রতারণা ও মাদক ব্যবসা করে ইতিমধ্যে আসাদুল্লাহ কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরমে দেখা যায় ভাড়াটিয়ার নাম মো: আসাদুল্লাহ পিতা মৃত সামসুদ্দিন আহমেদ। জন্ম তারিখ দেয়া হয়েছে ১১-০৯-২০১৯। বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত। স্থায়ী ঠিকানা বাউশিয়া, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ। স্ত্রীর নাম লেখা হয়েছে দোলা মায়ের নাম লিখা হয়েছে বেবী বেগম, কদমতলা, বাসাবো, ঢাকা। সেই সময় দোলার ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান ছিল যার বয়স বর্তমানে ৬ বছর। ঐ সন্তানকে আসাদের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সন্তানের বাবার নাম সেলিম, সেলিমের বাড়ি গজারিয়ার হোসেন্দি এলাকায়। কিৃন্তু ভাড়ি ভাড়ার নিবন্ধনে দেখা যায় আসাদের মায়ের নাম নুরজাহান বেগমের পরিবর্তে বেবী বেগম লিখা হয়েছে।
সালেহা আক্তার দোলার সাবেক স্বামী সেলিম জানান, মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে আসাদ তার স্ত্রীকে জোর কৌশলে ঢাকার একটি বাসায় ভাড়া রেখে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয় ২০১৯ সালে উঠেছেন। সালেহা আক্তার দোলার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সেলিমও মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী।
সালেহা আক্তার দোলার ভাই মিলন জানান, দোলার স্বামী সেলিমের মাধ্যমেই আসাদুল্লাহর সাথে পরিচয়। আসাদুল্লাহ কোথায় আছে জানি না। তবে আমার বোনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই আসাদের। মিলনের ছোট ভাই ইউসুফ একটি থানার গাড়ি চালায়। পরিবারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। ইউসুফের বিরুদ্ধেও তিনটি মামলা রয়েছে।
২০১৭ সালে মিলনকে মিন্টু রোড থেকে গ্রেফতার করে এসআই ইসমাইল। তখন মিলনের কাছে ২০হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। মিলনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে সালেহা আক্তার দোলার মা বেবী বেগম যাকে আসাদ মা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি জানান, তার মেয়ে দোলার সাথে আসাদের বিবাহ হয়নি। সেলিমের সাথে মেয়ে দোলার ছাড়া ছাড়ি হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আসাদের ০১৯৫৯৮৬৮৪৭৪, ০১৩১৮৭৯১১৭৯ নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ করলেও তিনি কথা বলেননি। বাড়িওয়ালা হারুনের মোবাইল নাম্বার ০১৭৩১৪৬৯০০৬ যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল মাইটিভিতে চাকুরী করেন হাতিরঝিল, রামপুরা ঢাকা।
গজারিয়া থানায় একটি পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় গ্রেফতার করার চেষ্টা করলেও তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।
Leave a Reply