মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)সংবাদদাতা:
প্রকাশ্যে দিবালোকে ড্রেজার দিয়ে নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে কার্পেটিং হচ্ছে প্রশাসন কিছু বলছে না। প্রশাসন কিছু না বলার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে গজারিয়াবাসীকে। প্রশাসনকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে আবুল খায়ের গ্রুপ হোসেন্দি ব্রীজের নিচ দিয়ে নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। কারো কাছে কোন অভিযোগ দিয়ে ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গজারিয়া সাংবাদিকদের। রোববার (২১ আগস্ট) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেছে এবং সেই রাস্তা কার্পেটিং করছে। ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করে তাদের বাকী রাস্তা নির্মাণের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে এমনটিই মনে করছে এলাকাবাসী।
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের হোসেন্দি ব্রিজের নীচ দিয়ে নদী ভরাট করে এখন কার্পের্টিং রাস্তা নির্মাণ চলছে এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, ভূমি প্রশাসন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জানানোর পরে দায়সারা অভিযান চালিয়ে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করে সমাপ্ত করেছেন তারা। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার ভূমি ফোন দিলে তারা ফোন না তোলারও অভিযোগ রয়েছে। এভাবে কি জনপ্রিয় নদীর তীর, তলদেশ ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে কার্পেট করবে না এটা বন্ধ হবে জানতে চায় গজারিয়াবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ আবুল খায়ের গ্রুপ সাধারণ মানুষের এবং সরকারি বেসরকারি জায়গা অনৈতিকভাবে ভরাট করে জোর জবরদস্তি করে ক্রয় করে শিল্প প্রতিষ্ঠান করেছেন। এই শিল্পায়নের ফলে হোসেন্দির কয়েকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও সাধারণ জনগণ কিছুই পায়নি। তাদের কারণেই প্রতিবছর খুনখারাবির মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। এভাবে যদি নদী ভরাট করে রাস্তা করতে পারে তাহলে আবুল খায়ের গ্রুপ সব ধরনের কাজই করতে পারবে।
গজারিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিএম কাদের জানান, বিষয়টির তথ্য দিয়েছেন অবশ্যই কাজ হবে। তবে প্রশাসনকে জানিয়ে আবুল খায়ের গ্রুপ কাজ করছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বার বার কে বলেছেন তার নাম জানতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পূর্বে ৫০,০০০টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা দিয়েই কি নদী দখল করার অনুমতি পেয়েছে এমন প্রশ্ন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হতচকিত হয়ে বলেন, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে কাজ বন্ধ করা হবে।
এ বিষয়টি নিয়ে ফোন দেয়া হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ¯েœহাশীষ দাশ জানান, আমি এই বিষয় জেনেছি, তবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাজ চালু থাকে তবে গজারিয়া থানার এসিল্যান্ডকে পাঠাচ্ছি। দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সরকারী জায়গা কোন মতেই দখল হতে পারে না বলে সাংবাদিকদের জানান।
Leave a Reply