রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ টাকা কেজি দরের চাল প্রদানের কার্ড নবায়ন ও ডাটাবেজ তৈরি বাবদ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগমের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজানগর ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, এ ইউনিয়নের ৬৪৪টি পরিবারকে ওএমএস-এর তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নারী সদস্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি তালিকায় নিবন্ধনে জন্য উপকারভোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এছাড়া কার্ডের নাম পরিবর্তনের জন্য পাঁচ শ’ করে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপকারভোগী আন্না বেগম বলেন, হালিমা মেম্বার আমাদেরকে ন্যায্য মূল্যের চালের কার্ড করে দিবে বলে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপকারভোগী শিল্পী বেগম বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য মূল্যের চাল দেয়ার কথা বলে হালিমা মেম্বার এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন। পরে আমাদেরকে সন্ধ্যা বেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে যায় কম্পিউটারে এন্ট্রি করার জন্য। চার শ’ মানুষকে সারারাত পরিষদে বসিয়ে রেখে ভোর ৪টার দিকে এন্ট্রি কাজ শেষ করে।
অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে চেয়ে কোনো টাকা নেইনি। কম্পিউটারের কাজ করতে অনেক রাত হয়ে যাওয়াতে উপকারভোগীরাই আমাদেরকে কিছু টাকা দিয়েছিল।’
রাজানগর ইউপি সচিব গোলাম ফারুক বলেন, সরকারিভাবে উপকারভোগীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে তাদের থেকে অর্থ আদায় করে থাকে এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, কারো কাছ থেকে চেয়ে টাকা নেয়া হয়নি নিজ থেকেই তারা দিয়েছে।
এছাড়া সপ্তাহে এক দিনের বেশি তার পরিষদে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর থেকে বেশি আর কী সময় দিব জনগণকে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল আলম তানভির বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এ বিষয়ে তালিকা করতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply