বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
শরীয়তপুরে স্থানীয় ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা দাবি করেছেন শ্রমিক নেতা ফারুক চকিদার। এই মর্মে ব্যবসায়ী আতাউর রহামান বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধানন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর, পুলিশ সুপার শরীয়তপুর, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র, র্যাব মহাপরিচালক, র্যাব-৮ মাদারীপুর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্যেখ করেন আমি নিম্ব স্বাক্ষরকারী মোঃ আতাউর রহমান তালুকদার, পিতা-মৃত মোঃ হাচেন শরীফ তালুকদার, সাং- পালং, উপজেলা-শরীয়তপুর সদর, জেলা- শরীয়তপুর এই মর্মে অভিযোগ করতেছি যে, আমার ৩৮ নং পশ্চিম কোটাপাড়া মৌজার বিআরএস ২৭ নং দাগের ও বিআরএস ২৫ ও ২৬ নং দাগের মোট ১০০ শতাংশ (১একর) জমি এবং বাঘিয়া মৌজার বিআরএস ৭৮৪, ৭৮৩ ও ৭৮২ নং দাগের উপর মোট ৭০.৫০ শতাংশ জমিতে আমার একটি বসত বাড়ি (হোল্ডিং -২১৬, বাঘিয়া ও হোল্ডিং -০৫৩৫-০১, পশ্চিম কোটাপাড়া) আছে। আমি কিছু অংশ বাড়ি ভাড়া দিয়া ও কিছু অংশ দোকান ভাড়া দিয়া এবং কিছু অংশে নিজে কাচাঁ চামড়া লবণজাত করণের ব্যবসা ( যার ট্রেড লাইসেন্স নং-২৮৮২,ক্রমিক নং-৩৩৯, তারিখ: ১৬/০৮/২০২১) করে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। আমার নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছে ৭৫ শতাংশ জমি বিক্রি করিয়া অবশিষ্ট সম্পত্তিতে আমি ও আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার আমিন মাদবর দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে থাকিয়া পুরাতন ঘরের সংস্কার ও নতুন করে কয়েকটি রুমের নির্মাণ কাজ করিতেছি।
এমতাবস্থায় বিবাদী সন্ত্রাসীগণ: ১। মোঃ ছাদ্দাম চকিদার, ২। মোঃ কবির হোসেন চকিদার, ৩। মোঃ ফারুক হোসেন চকিদার গং, সর্ব পিতার: মৃত সফিউদ্দিন চকিদার, সাং: বাঘিয়া, পো: দাসার্ত্তা, থানা: পালং, জেলা: শরীয়তপুর, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমার কাছে ৫,০০,০০০/-( পাঁচ লক্ষ) টাকা চাদাঁ দাবী করে। আমি বিবাদী সন্ত্রাসীদের চাদাঁ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে বলে যে, আমাদের চাদাঁ টাকা না দিলে তোকে জীবনের জন্য শেষ করিয়া ফেলব। তারা আমাকে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা থাকার পরেও কোন পুলিশ ও আদালত আমাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে নাই। জীবন বাচাঁনোর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে কেউ ভয়েও সাক্ষী দেয় না। মানুষ খুন করা আমাদের কাছে কোনো ব্যপারই না। পুলিশ মারা, ডিবি মারা এমন কি নিবার্চনের ব্যালট ও ভোটের বাক্স পুড়িয়ে দেয়াসহ অস্ত্র, মাদক এবং ডাকাতির মতো বহু মামলা থাকার পরও আইন আদালত ও পুলিশ ভয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করে না। পুলিশের সাবেক বড় কর্মকর্তার সাথে আমাদের সরাসরি ওঠাবসা এমনকি আদালতের কর্মচারিদের সাথেও আমাদের হাত আছে। আমরা যদি তোমাদের স্ব পরিবারে দুুিনয়া থেকে সরিয়ে দেই তাহলে আমাদের শাস্তি বা বিচার করতে আসার মতো সাহস কারো হবে না।
আমরা শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতা রাজ্জাক হাওলাদারের মতো মানুষের চোখ উত্তোলনসহ পৌর সভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মান্নান সরদারকেও মার্ডার করেছি। তার পরেও আমাদের কেউ কিছু করতে পারেনি। আমাদের টাকা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সবই আছে। এমপি মন্ত্রীদেরও আমাদের কথা মেনে শরীয়তপুরে চলতে হয়। আমরা কাউকে ভয় করিনা। তুমি যদি আমাদের কথায় রাজি না হও তাহলে বুঝতেই পারছো আমরা তোমার সাথে কি করতে পারি। উক্ত সন্ত্রাসীরা পুলিশের সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর আপন বোনের মেয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের (ফরিদগঞ্জ থানা নম্বর-৭৮/২০২০ইং জিআর ৩৯১/১৯) মামলা উল্লেখ করে বলেন, এই মামলায়ও আমাদের কিছু হয়নি। একদিন জেল খাটতে হয়নি।
এসময় আমার ঘরের সংস্কার ও নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে চলমান কাজ বন্ধ করে দেয় এবং আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রণে মেরে ফেলার উদ্যেশ্যে আমার ঘরের চারপাশ ঘিরে রাখে। তখন আমি নিরূপায় হয়ে ১৩/১০/২০২২ইং তারিখ আনুমানিক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে শরীয়তপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা চাই। তারপর পালং থানা এএসআই সোহাগ দারোগা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এর আগেও বিবাদীরা আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমার ব্যবসা বন্ধ করার জন্য নানারকম ভয়ভীতি হ হুমকি দিয়ে আসে।
যার প্রেক্ষিতে আমি গত ১৮/০//২০২১ইং তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বণিজ্য মন্ত্রণালয়, মাননীয় সংসদ সদস্য (শরীয়তপুর-১) ও শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করি। তাতেও বিবাদীরা ক্ষান্ত হননি। বরাবরের মতো উক্ত উক্ত জমিতে আমার ব্যবসা বন্ধ করার জন্য চাঁদা দাবী ও প্রাণনাশের হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি অত্যন্ত নিরূপায় হয়ে আইনী সহযোগীতা আপনার নিকট আবেদন পেশ করলাম। উল্লেখ্য যে, বিবাদীদের বর্তমান বসতকৃত বাড়ির দলিলদাতা আমি আতাউর রহমান তালুকদার। বিবাদী সন্ত্রাসীরা অনেক বড় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। বিবাদী গংদের বাডিঘয়া মৌজায় ভিন্ন ভিন্ন ক্লাব নামে টর্চার সেল আছে, যেখানে মানুষকে অমানবিক অত্যাচারের জন্য ও নির্যাতন করা হয়ে থাকে। কেউ তাদের বিরোধীতা বা তাদের কথা না শুনলে সেই টর্চার সেলে নিয়ে মানুষকে নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে থাকে।
তারা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা হওয়ায় তাদের এতই প্রভাব যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবাই কঠিন। এরা অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল করে আত্মসাতের জন্য না পারে এমন কিছুই নেই। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ফিল্ম স্টাইলের জিপ গাড়ি ও একটি প্রাইভেটকারসহ ১০টি মটর সাইকেল আছে যা শরীয়তপুর জেলার অন্য কোন বড় বড় এমপি মন্ত্রীদেরও নাই। তারা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মান্নান সরদারকে মার্ডার করে মুন্সি মোহম্মদ আলীর বাঘিয়া মৌজার ২ একর ৩০ শতাংশ জমি অবৈধ দখল করে নেয়। সরেজমিনে তদন্ত করলে এমন জমি দখলের শত ঘটনার প্রমাণসহ সত্যতা পাওয়া যাবে।
Leave a Reply