সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শ্রীনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অষ্টম শ্রেণি পাস হলে জ্ঞানে চাতুরতায় এলাকায় সেরা। তার চালাকি ও চাতুরতা দিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে চলেছেন তিনি। একান্নবতী পরিবারেও ঝগড়া ফাসাদ তৈরি করে পরবর্তীতে লীজের জায়গা নিজের নামে করে নেয়ার পায়তারা করছেন শ্রীনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম।
শ্রীনগর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামে অনুসন্ধানে গেলে জানা যায় মৃঃ আজিমউদ্দিনের পুত্র মোঃ হানিফা হাওলাদারের সাড়ে ০.১৮৫০ শতাংশ লীজের ভুমি নিয়ে পান্ডিত্ব দেখান একই গ্রামের রেহানা বেগম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। ভোগদখলে আছে মোঃ হানিফা হাওলাদার। দীর্ঘ বছর ধরে লীজ নিয়ে দখলে ছিলেন হানিফ হাওলাদার। চাতুরতা ও কুট কৌশল করে ছোট ভাইয়ের বৌ সবুজা বেগম ও তার তিন ছেলের নামে লীজ পরিবর্তন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়। দীর্ঘ বছর পরে কিভাবে হঠাৎ করে ২০২২ সালের অক্টোবরে এসে এই জমির লিজ অন্যের নামে হয়ে যায়? একজনের নামের লীজ হঠাৎ করে আরেকজনের নামে এমন খবরে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে লীজ নেয়া পরিবারের মাঝে।
হানিফ হাওলাদার জানায়, এই জায়গার লিজ কাটানো তার নামে, কিভাবে সেই লিজ অন্যের নামে হয়ে যায় আমার বুঝে আসেনা। ভূমি অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পাইনি। এমন চিন্তায় পরিবারের ঘুম হারাম। অপরদিকে এলাকার লীজ নেয়া পরিবারের ঘরে ঘরে আশংকা, ভাইয়ে ভাইয়ে খুন জখমের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক ভাই আরেক ভাইয়ের সস্পর্ক নিয়েও বিভিন্ন চা দোকানে সমালচনার ঝড় বইছে। যে কোন সময় মার মুখী আক্রমনের চিন্তা সবুজা বেগমের কিশোর তিন সন্তানের। তাদের উগ্র আচরণেই তা প্রকাশ পায়।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীনগর থানার সোন্ধারদিয়া মৌজার (আর এস ৪৭১, ৪৪৮, ৪৬২, ৪৪৬ নাল ) সাড়ে আঠারো শতাংশ সরকারি জায়গা জবর দখল করার জন্যে ছলনার মাধ্যমে নিজের দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীহারা সবুজা বেগমের নামে এনেছেন বলেও এলাকায় গুঞ্জন চলছে। শ্রীনগর ভূমি অফিস তার নিয়ন্ত্রনে থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে যা বলে এবং যেভাবে বলেন সেইভাবে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা কাজ করেন বলে এলাকায় জনশ্রুত রয়েছে। যে কোন সময় এই পরিবার দুটির মাঝে বড় ধরনের অঘটন হওয়ার আশংকা করা যায় ।
এ বিষয় শ্রীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম বলেন, আমি গরিবের কাজে সবসময় আছি। আমার এই সরকারের ওয়াদা যার বাড়ী ঘর নাই তাকে সরকারী জায়গা দিয়ে জনসেবা করা তাই আমি করেছি। কেউ আমাকে বলতে পারবে না যে আমি কারো জমি অন্যের নামে এনে নিজে লাভমান হইছি।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি সব সময়ই ভুমি অফিসে যাই মানব সেবায়। কিছুদিন আগেও শ্রীনগরের জসিমকে একটি দোকান আমার মাধ্যমেই এনে দিয়েছি সত্য। তিনি আরো বলেন আমার এলাকায় প্রচুর খাশ খতিয়ানের জায়গা আছে , যা ভুমিহীনদের এনে দেয়ার কাজ করছি , আমার এই বয়সেও গত ত্রিশ বছর হয় গরিবের জন্য কাজ করছি। যখন বলা হয় সবুজা বেগম কি ভুমি হীন? এর পরেই রেহানা বেগম কথার উত্তর এড়িয়ে যান।
রেহানা বেগম আরো বলেন ,অভিযোগকারী হানিফ হালদারের নামে এই জায়গা ছিলো না। সর্বপরি বলতে পারি হানিফ হাওলদারের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সবুজাকে সরকার ভুমির লিজ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন এক জনের ভিপি সম্পত্তি আরেকজনকে দেয়া যায় না। যদি কাউকে দেয়া হয় শুনানির মাধ্যমে দিতে হবে। ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগমের সাথে একবার আমার দেখা হয়েছে। তাহার বিরুদ্ধে যদি ভুমি সংকান্ত্র দালালির বিষয় থাকে তবে তা খতিয়ে দেখে আইনআনুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগি হানিফ হাওলাদারকে আমার অফিসে পাঠালে আমার কাজ সহজ হবে।
Leave a Reply