রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটিতে পৌর শহরের সাধারন মানুষের অবসর সময়ে শান্তির বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নিতে, বাচ্চাদের মেধার বিকাশে খোলামেলা সবুজ প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সুগন্ধা নদীর তীরে সবুজ পার্ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
নলছিটির সাধারণ মানুষের পক্ষে সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তুর্য, এফ আই রিভান, আনিসুর রহমান, ইশরাক মাহমুদ স্বাধীন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপিটি ৯ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টায় প্রদান করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদা লস্কর এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিজন কৃষ্ণ খরাতি। স্মারকলিপি প্রদানকারী বালী তূর্য বলেন, ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনের পক্ষ থেকে দুঃখের সাথে বলতে হয় আমাদের উপজেলাটি অত্যন্ত প্রাচীন,বানিজ্যে সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী হিসেবে পরিচিত হলেও এখানে বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের বিশুদ্ধ বাতাসে বিচরনের মতো কোনো পার্ক নেই।
শতবর্ষী এই নগর সুদীর্ঘকাল থেকেই কলকাতার মতন প্রাচীন নগরের সাথে বানিজ্যে সমৃদ্ধ ছিল, এখনো ঝালকাঠী শহরটি দক্ষিনবঙ্গের অন্যতম বানিজ্য কেন্দ্র। যার প্রমান স্বরুপ এই উপজেলায় চীনা নাগরিকের কবর এখনো সংরক্ষিত রয়েছে। তাই আমরা চাই সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান উন্নতির ধারাবাহিকতায় আমাদের নলছিটির সুগন্ধা নদীর তীরে (কলবাড়ি), স্টিমারঘাট, মল্লিকপুরে অথবা যেকোনো যায়গায়ই হোক একটি মনোরম সবুজে ঘেরা পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হোক।
উপজেলা পরিষদ চত্তরে সাবেক সংসদ সদস্য জুলফিকার আলি ভুট্টোর সময়ে একটি শিশু পার্ক নির্মিত হলেও সংস্কারের অভাবে সেটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিত্যক্ত হয়ে পরে আছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এফ এইচ রিভান বলেন, এই প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত শহরে বাচ্চাদের নিয়ে বিকেলে বা নিরিবিলি সময়ে একটু হাটার মতন বা বসার মতন কোথাও যায়গা নেই। সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী কলবারি, মল্লিকপুর সহ অন্যান্য যায়গাগুলিও বেদখল হয়ে ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। যার ফলে নদীর পারের বাতাসও এক প্রকার দুুষিত হয়ে গেছে। বয়স্ক লোকেরা বা ডায়াবেটিস রোগীদের সকাল বিকাল হাটার মতোন যায়গাও কোথাও নেই, রাস্তায় হাটতে গেলে পেছন থেকে গাড়ির ধাক্কা দেয়ার ঝুকি থেকে যায়। ছোট বাচ্চারা বাসায় বসে থাকতে থাকতে মোবাইল আসক্ত হয়ে যাচ্ছে, তাদের নিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মতন কোন সুযোগ নেই।যারফলে মানুষিক প্রশান্তি ও বাচ্চাদের মেধার বিকাশের তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই যদি এসমস্ত সরকারী বেদখল হয়ে থাকা জমিগুলি দখলমুক্ত করে একটি পার্ক নির্মান করা হতো, তাহলে একদিকে যেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ হত তেমনি বাচ্চাদের ও বয়স্কদের মানুষিক অবসাদ দূর করার ব্যবস্থা হত।
বিকালে সবাই এসে বসার সুযোগ পেত। নলছিটি উপজেলার সুজন(সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতি খলিলুর রহমান মৃধা বলেন, পাখির কলকাকলি, বাচ্চাদের দুরন্তপনা আর বয়স্কদের অবসর কাটানোর এক দারুন সুযোগ হবে একটি পার্ক নির্মান করা হলে। তাই আমরা সবাই চাই অতি দ্রত নলছিটিতে একটি পার্ক নির্মান করা হোক। আমাদের সবুজ সোনার বাংলার প্রাচীন এই নগরীর পালকে লাগুক নতুন রঙ এই কামনা আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের অন্তরে।
Leave a Reply