রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রিপন হোসেন ফাহিম আমাদের দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমা পত্রিকার সাবেক কর্মরত ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ওমর ফারুককে গত ১৫/০৬/২০ইং তারিখে প্রকাশ্যে এবং গত সোমবার বেলা ৩ঃ২৫ মিনিটে ফোনালাপের মাধ্যমে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
গত ১৫/০৬/২০ইং তারিখে বেলা ৩ঃ২৫ মিনিটে ০১৮৬২১৫১৯৮০ এই নাম্বার হতে দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমা পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ওমর ফারুক এর ০১৬৮২৯০৩৫০০ এই নাম্বারে একটি কল আসে,এমনকি কল রিসিভ করার পর পর অপরদিক থেকে যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রিপন হোসেন ফাহিম অগনিত গালমন্দ করতে থাকে।তারপর এক পর্যায় ফোন কলের মাধ্যমে তিনি মোঃ ওমর ফারুককে গুলি করে মেরে ফেলবে বলে প্রাননাশের হুমকি দেয়।তাৎক্ষনিক তার এইরুপ গালমন্দ ও গুলি করে মেরে ফেলার কারন জানতে চাইলে সে আমাকে বলে যে,আমি মোঃ ওমর ফারুক নাকি ঢাকা ওয়াসায় কর্মরত মাসুদ নামের এক স্টাফের মোবাইল ফোন নিয়ে নিছি।অথচ মোঃ রিপনের কাছ থেকে আমাদের পত্রিকার উক্ত স্টাফ ফোন কলের মাধ্যমে কোন মাসুদ,ওয়াসার কোন স্টাফ সেটা জানতে গেলেই তখন রিপন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।গুলি করে মেরে ফেলার হুমকির পাশাপাশি আমি যেনো ওয়াসার স্টাফ মাসুদের কাছে মোবাইল দিয়ে আসি,এবং ক্ষমা চেয়ে আসি কঠোরভাবে সেই নির্দেশ দেন।এই সমুদ্বয় বিষয়ে উক্ত ওয়াসা অফিসের কিছু স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,মাসুদ নামে একজন বিলিং সহকারী রয়েছে,এবং উক্ত স্টাফ মোঃ মাসুদ এর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় যে,তার সাথে মোঃ ওমর ফারুক নামের কোনো লোক মোবাইল নিবে সেতো পরের কথা,কোনোদিন তার সাথে দেখাই হয়নি।
গত ১৫/০৬/২০ইং তারিখে আনুমানিক ১২ঃ৩০ ঘটিকার সময় প্রকাশ্যে ওয়াসা অফিসের গেটের সামনে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি প্রদানের পর আজ আবার মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন,এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই বারংবার মোঃ রিপন হোসেন ফাহিমের এই সকল সন্ত্রাসী ও প্রাননাশের হুমকি কর্মকাণ্ডের কারণে দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমা পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ওমর ফারুক তার স্বাভাবিক জীবন যাপন চলাচলে এবং সংবাদ সংগ্রহে এক ভয়ভীতির মধ্যেই আছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান যে,যাত্রাবাড়ী থানাস্থ অবস্থিত ঢাকা ওয়াসা জোন-১ ও ৭ এ কিছু সংখ্যাক কর্মরত সরকারী এবং বে-সরকারী বিলিং সহকারীদের মাধ্যামে সরকারী রাজস্বখাতে যে পরিমাণ অর্থ লুন্ঠন হয়,তার তথ্য উপাত্বের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায়ে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য সেখানে যান।এমনকি উক্ত অফিসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শুনতে পান যে,উক্ত অফিসের অধিকাংশ বিলিং সহকারী তাদের নিজস্ব লোকদের দ্বারা সরকারী ওয়াসা বিল প্রদান করেন,এবং তারিই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এই সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি একটি নোটিশ জারী করেন।সেই নোটিশে লেখা আছে যে,বহিরাগত লোক দ্বারা যদি কোনো সরকারী বা বেসরকারি বিলিং সহকারী বিল প্রদান করেন যা দন্ডনীয় অপরাধ,তাহলে উক্ত অফিসের আওতাধীন সেবা গ্রহনকারী গ্রাহকরা যেনো তাদের ধরে স্থানীয় থানায় দিয়ে দেন।এমনকি উক্ত অফিসের প্রতিটি ফ্লোরে ঢোকার পথে আরো একটি নোটিশ রয়েছে,সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে,অফিস স্টাফ এবং গ্রাহক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।
মোঃ ওমর ফারুক তিনি আরো জানান যে,এই সকল অন্যায় এবং রাজস্বখাতে সরকারী অর্থ লুন্ঠনের সত্যাতা প্রমানাদি সংগ্রহ সহিত গত ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন।সেখানে লেখা ছিলো,ঢাকা ওয়াসা জোন ১ ও ৭ এ কর্মরত বিলিং সহকারীদের নিজস্ব আর্থিক স্বার্থের জন্য বহিরাগতদের দিয়ে বিল প্রদান।তারিই ধারাবাহিকতায় সকল বহিরাগতরা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে,এমনকি যা বিদ্যমান।তারিই জের ধরে প্রতিনিয়ত মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি সত্য তথ্য সংগ্রহে বাধা প্রদান করে আসছেন মোঃফাহিম হোসেন রিপন । তার এই সকল কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করে থেমে থাকেনি সত্য উম্মোচনের ধারাবাহিকতা।তবে মোঃ ওমর ফারুক(প্রকাশক ও সম্পাদক,সাপ্তাহিক বর্তমান জনজীবন) আরো বলেন যে,জাতীর মহান নেতা,বাংলার স্থাপতি বাঙ্গালী জাতির পিতা মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কখনো ছাত্র রাজনীতিতে এই সকল কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেননি।তিনি এক আদর্শিক রাজনীতির সুফল উম্মোচন প্রকাশ করে গেছেন তার ছাত্রজীবনে।ছাত্র রাজনীতি এমনি এক প্লাটফর্ম,যেখান থেকে মানুষ ভালো কিছু শিখবে,শিখাবে,এমনকি দেশের স্বার্থে,দশের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করে দিবে,তবেই ছাত্ররাজনীতির শিক্ষনীয় দিক গুলি অন্যের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে।
যে হাতে উচু করে শ্লোগান দেয়া হয় যে,”ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর কোনো স্থান নেই” অথচ সেই মুখে অন্যায়ভাবে মানুষকে প্রকাশ্যে ও ফোন কলের মাধ্যমে বাসায় কিংবা বাহিরে যেখানেই পাবে সেখানেই গুলি করে হত্যা করার হুমকি প্রদান করেন মোঃ ফাহিম হোসেন রিপন(সাধারন সম্পাদক যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ)।তবে এই হুমকির বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে বলে মোঃ ওমর ফারুক (প্রকাশক ও সম্পাদক,সাপ্তাহিক বর্তমান জনজীবন) জানান।তাছাড়া অদ্য ৩০/০৫/২১ ইং তারিখে যাত্রাবাড়ী আইডিয়েল স্কুল এর পূর্ব রাস্তায় ঘটিত মরহুম জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে প্রোগ্রামের ছবি ও সংবাদ নেয়ার লক্ষ্যে উল্লেখিত স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে চাদাবাজ,সন্ত্রাস,এমনকি যার পুরো পরিবারের সদস্যরা এক সময়ের বিএনপি দলের সাথে যোগসাজশ ছিলো ওতপ্রোত ভাবে,সেই ফাহিম হোসেন রিপন তার সাথে আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জন নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শারীরিক হামলা এমনকি উল্লেখিত সম্পাদকের গায়ের গেঞ্জি ধরে টানাটানি করে ছিড়ে ফেলে এমনকি ৬৩ নং ছাত্রলীগের মোঃ ইয়াসিন এর সাথে এক ফোনালাপের মাধ্যমে জানা যায় যে মোঃ ওমর ফারুক (প্রকাশক ও সম্পাদক,সাপ্তাহিক বর্তমান জনজীবন) এর হেলমেটে লাগানো 4K GOPRO ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় যা উল্লেখিত ফাহিম হোসেন রিপনের নিকট জমা রাখা আ আছে। উক্ত সম্পাদক উপস্থিত থাকা এস আই মোঃ মাহমুদ’কে উল্লেখিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বললে,উক্ত পুলিশ এক কথায় বলে দেয় যে,তার কিছুই করার নাই।
এতে করে উল্লেখিত সন্ত্রাসী ও বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগের নামধারী যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফাহিম হোসেন রিপন আরো সাহস পেয়ে গিয়ে মোঃ ওমর ফারুক’কে(প্রকাশক ও সম্পাদক,সাপ্তাহিক বর্তমান জনজীবন) যাত্রাবাড়ী এলাকার থেকে চিরতরে উঠায়া দিবে বলে হুমকি দিয়ে আসে।
পরবর্তীতে যেখানে উপস্থিত চলাচলকারী মানুষের সামনে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যেতে পারে,সে যে পরবর্তী সময়ে একলা পেলে মেরে ফেলবে না,তার আশঙ্কায় উক্ত সময়ের কিছুক্ষন পরে উল্লেখিত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়,যার ডায়েরী নং-১৯২৯,তারিখ-৩০/০৫/২১।তাই এ ব্যপারে মোঃ ওমর ফারুক(প্রকাশক ও সম্পাদক,সাপ্তাহিক বর্তমান জনজীবন) তিনি এও আশা করেন যে,প্রশাসন অবশ্যই এই ব্যপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এবং এর সঠিক বিচারদানে মুখ্য ভুমিকা রাখবেন বলে তিনি তার মন্তব্য ব্যক্ত করেন।
বিশেষ ভাবে আরো উল্লেখ করতে হয় যে,অদ্যবদি ২১/০৫/২০২০ উল্লেখিত সাধারণ ডায়েরী করার পরও প্রকাশ্যে ও ফোনালাপের মাধ্যমে গুলি করে মেরে ফেলার তথা প্রান নাশের হুমকির কোনো আইনি সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।এমনকি উল্লেখিত রিপন হোসেন ফাহিমে দিন দিন তার এই সকল সন্ত্রাসীমুলক আচরন বৃদ্ধি হয়ে আসছে।তবে যাত্রাবাড়ী থানায় করা সাধারণ ডায়েরীটা অদ্যবদি আইনি জটিলতায় উক্ত থানায় অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। পত্রিকার শিরোনামে যার হেড লাইন ছিলো “দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমা পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ওমর ফারুক’কে প্রকাশ্যে এবং ফোনালাপের মাধ্যমে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি- মোঃ রিপন হোসেন ফাহিম (সাধারন সম্পাদক-যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ)” আদৌ রিপন হোসেন ফাহিমের বিরুদ্ধে উল্লেখিত থানা হতে তার এই সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্নবিদ্ধ।
তবে উল্লেখিত সন্ত্রাসী ফাহিম হোসেন রিপনের পারিবারিক খোজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, তার বাবা মোঃ ফারুক খানসামা কাজ করেন।এমনকি বিএনপি’র অধিকাংশ প্রোগ্রামে পিছে পিছে থাকেন।তবে বিএনপি’র কোনো নেতা বা কর্মী হিসেবে তার কোনো পরিচয় মেলেনি।
Leave a Reply