মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ আখলাকুর রহমান আশিক
আমাদের দেশের চার প্রান্তের তিন প্রান্ত জুড়েই আছে ভারত সীমান্ত। সেই সীমান্ত দিয়েই দিন,মাস,বছর জূড়ে চলছে চোরাচালানি সীমান্ত রক্ষীদের নাকের ডগা দিয়ে। মানবপাচার, চোরাচালানি সহ অন্যান্য যাবতীয় অন্যায় প্রতিহত করার জন্য দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(BGB) আছে ঠিকই, কিন্তু সঠিকভাবে নিয়ম রক্ষা করা হচ্ছে কিনা সেদিকে কারো নজর নেই। চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের পণ্য, মালামাল দেশে আসছে, দেশ থেকে যাচ্ছে। এই লেনদেন নিয়ম মেনে করা হলে প্রতি বছর বিপুল পরিমানের অর্থ দেশের রাজস্ব খাতে জমা হত।
দেশে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল কিছুই আনা হয়। সীমান্তের দুর্গম অঞ্চল দিয়ে মহিলা শিশুদের কাঁধে বস্তা দিয়ে দিন রাত চোরাচালানি চলে। এছাড়াও কোরবানির সময়ে গরু পাচারের হিড়িক লেগে যায়। যার ফলে আমাদের দেশীও পন্যের চাহিদা ও দাম ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হল,ভারত সহ অন্যান্য দেশের সীমান্ত দিয়ে আমাদের দেশে বিপূল পরিমানে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করছে,যা সর্বাধিক চেষ্টা করেও থামানো যাচ্ছে না।
আজ আমাদের দেশের যুব সমাজ মাদকসেবন করে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,তার পিছনে প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার। এ সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায় যে, এতে আমাদের দেশের ও ভারত উভয় পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত আছে বলে ধারনা করা যায়।
প্রশাসনিক লোকদের নিজ দ্বায়িত্বের আবহেলা, দুর্নীতির কারণে বাড়তি উপার্জনের আশায় চোরাচালানকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশ ও দেশের জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে। স্থানীওদের জিজ্ঞেস করলে একই উত্তর পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, চোরাচালানি বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং সম্পূর্ণভাবে দমন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্রপাতি, জনবল বৃদ্ধি,সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া মোজবুত, নতুন ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ সহ অনেক পরিকল্পনা দিন দিন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে চোরাচালান বিহীন সীমান্ত উপহার দিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চৌকশ সেনারা আমাদের দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Leave a Reply