বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
নেত্রকোনা,স্টাফ রিপোর্টারঃ মহিউদ্দিন তালুকদার
নেত্রকোনা সদর উপজেলার পৌরসভার সাতপাই এলাকার রেল ক্রসিং বাজারের শ্রী সুজন সরকার পিতা শ্রী অখিল চন্দ্র সরকার মাতা শ্রীমতী নন্দ রানী সরকার।
নেত্রকোণার রেল ক্রসিং বাজারস্থ নিজস্ব দোকানে দীর্ঘদিন যাবত মুদির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।দীর্ঘদিন ব্যবসার সুবাদে ঐ এলাকার মানুষ জনের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে একটি সু-সম্পর্কে গড়ে তুলে এবং তাদের সরলতার সুযোগে নিজের কাল্পনিক সমস্যার কথা বলে, এবং বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে চেক এর মাধ্যমে হাওলাত ও লাভের অংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনুমানিক ৭০-৮০ জনের সাথে প্রতারণা করে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের অন্ধকারে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
তার পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই নেত্রকোনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা নেওয়ার সময় দোকানদার সুজন তাদেরকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর চেক প্রদান করে। কিন্তু চেকে প্রদান করুন এর স্থলে নিজ লেখা থাকায় ভুক্তভোগীরা চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না এমনকি চেক ডিজঅনার করতে পারছেন না। আদৌ তার এই একাউন্টে কোন টাকা পয়সা আছে কিনা তাও তাদের জানা নেই ।মধ্যবিত্ত, থেকে শুরু করে নিম্নআয়ের বিভিন্ন নারী-পুরুষ এর কাছ থেকে অনেক টাকা সুকৌশলে এবং অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। আবার মানুষের বাসায় কাজ করে খায়, মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকাও রয়েছে। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা বিভিন্ন এন জি ও থেকে মাসিক কিস্তিতে টাকা তুলে তাকে দিয়েছেন।
এদিকে সুজন সরকারের মোঠুফোনে যোগাযোগ করলে তা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এলাকার মানুষজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সুজন এর কারনে অনেক পরিবার পথে বসেছে এখন,
এই প্রতারক সুজন সরকার কে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানায় এলাকা বাসি ।
এ বিষয়ে নেএকোনা মডেল থানার ওসি,বলেন সে যদি ফওজ দারি মামলার আইনের আওতা ভুক্ত হয় তার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তাই প্রতারক সুজন এর সন্ধান পেলে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিন। যেন আর কাউকে সুজন প্রতারিত করতে না পারে।
Leave a Reply