রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ মোবারাক হোসেন
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে দোলাইখাল অন্যতমের মধ্যে অন্যতম একটি স্থান।যেখানে যুগের পর যুগ ধরে সকল ধরনের গাড়ির পার্টস,বিশাল লোহার পাইকারী ব্যবসা ও ইলেক্ট্রিক সামগ্রী সহ নানান ব্যবসার স্থান গড়ে উঠেছে।বড় বড় শিল্পপতির ব্যবসায়িক স্থান হিসেবে যার আরেক নাম দোলাইখাল।আর সেই স্থানে আজ বড় বড় ব্যবসায়ীর পাশাপাশি ছোটো খাটো ব্যবসায়ীর স্থান হিসেবে ও বেশ পরিচিতি লাভ করেছে এই দোলাইখাল।
অথচ সেই ব্যবসায়িক স্থান হয়ে গেছে আজ সকল দোকান্দারদের মালামাল রাখার গোডাউন।জমে উঠেছে রাস্তা দখলের হই-হুল্লোর।থেমে নেই যানজট,বসে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালকদের দ্বারা এলোমেলো ও এচ্ছে মতো গাড়ি গোড়ানো বা পার্কিং করা।সেই সাথে দেখা মেলেনা ট্রাফিক ও সার্জেন্টদের।
এই অবাধ রাস্তা দখলে জনজীবন হয়ে উঠেছে চরম অতিষ্ঠ।না হচ্ছে স্কুল/কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের সময়মত সঠিক গন্তব্যে পৌছানো,না হচ্ছে সরকারী বা বে-সরকারী কর্ম কর্তাদের তাদের কর্মস্থলে সঠিক সময়ে হাজির হওয়া আরো ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাছাড়া দক্ষিন অঞ্চলের লঞ্চে যাতায়াত করার পথেও রয়েছে নানান অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট।এই দুরাবস্থা থেকে সাধারন মানুষ আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।দেশের সকল জনগণ আজ নিজেরাও জানে না যে এর জন্য মুল দায়ী কারা ?
কাদের কারনে আজ এতো বার তথা বারংবার মৌখিক ভাবে এমনকি লিখিত ভাবেও অভিযোগ করেও কোনো আশানুরূপ সফলতা তারা দেখতে পাননি।শুধু একটাই প্রশ্ন,আর সেটা হলো যে,এহেন পরিস্থিতির জন্য কি পুলিশ প্রশাসন বা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ দ্বায়ী না সিটি কর্পোরেশন এ নিযুক্তীয় সড়ক বিভাগ,কিংবা পার্কিংয়ের নামে যারা রাস্তা হতে এলোমেলোভাবে গাড়ি থামিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা উঠাচ্ছে তারা নাকি পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে দিন দিন প্রতিটি পাড়া মহল্লার ছোটো খাটো রাস্তা বা মুল সড়কের উপর বেড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাট কিংবা কাচাবাজার ?
তাছাড়া ঢাকার বিভিন্ন যায়গায় ঘোরাগুরি করে এও দেখা যায় যে,অধিকাংশই মুল সড়কের উপর ছোটো মিনিবাস বা বাস কিংবা লেগুনা গাড়ির অবাধ অবৈধ স্ট্যন্ড গড়ে উঠেছে।যার কারনে অধিকাংশ সময়েই দিনে বা রাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে,যার শাস্তি স্বরুপ কোনো সময় হয়তো কিছু স্বাভাবিক জরিমানা বা আইন অনুযায়ী শাস্তি।
এমনকি যাদের উপর দিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে,তাদের অধিকাংশই খেটে খাওয়া সাধারন জনগন,যারা হয়তো দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে কিছুই করতে পারেনা বা কিছু বলতে গেলে উল্টো মারমুখী হয়ে উঠে গাড়ির ড্রাইভার কিংবা হেলপার।আর উল্লেখিত গাড়ির স্ট্যন্ড হলেতো কথাই নাই।
তাই আজ এই স্বাধীন দেশ থেকে এই সকল সামগ্রিক বিষয় হতে সাধারন জনগণ মুক্তি চায়,চায় একটু স্বস্থি।
তাই অধিকাংশ লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ সকল প্রশাসনের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি উদ্বাক্ত আহব্বান এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করে সমুদ্বয় বিষয়ে একটা স্থায়ী সমাধান দানে সকলেই তাদের মতামত প্রকাশ করেন।পাশাপাশি অধিকাংশই মুল সড়কের উপর গড়ে উঠা ছোটো মিনিবাস বা বাস কিংবা লেগুনা গাড়ির অবাধ অবৈধ স্ট্যন্ড ও পাড়া মহল্লায় ছোটো খাটো রাস্তা বা মুল সড়কের উপর বেড়ে উঠা অবৈধ সকল দোকানপাট কিংবা কাচাবাজার উঠিয়ে দিয়ে স্বভাবিক চলাচল নিশ্চিত করনে তাদের (সাধারন জনগণ) হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে দাবি এবং প্রশাসনের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্ব-হৃদয় বিবেচনা আশা করেছেন বলে সকলের মতামত শেষ করেন।
Leave a Reply