মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টার-মোঃ খোরশেদ আলম
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতে ছোট টেবিল বসিয়ে বিভিন্ন সেক্সুয়াল, বডি ফিটনেস ইত্যাদি ঔষধ বিক্রি করতে দেখা যায়। এই সকল ঔষধের বৈধতা সাধারণত বিভিন্ন হকার, গাড়ি চালক আরো বিভিন্ন পেশা মানুষ ক্রয় করে থাকে। এই সকল ব্যবসায়ী দিকে নেই কোনো প্রশাসনিক নজরদারি। উন্মুক্ত ভাবে চলছে ফুটপাতের এই ঔষধ ব্যবসা। ভেজাল ঔষধ নিয়ে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি সামনে এসেছে।যেখানে ক্লিনিক-হাসপাতালের পর এবার ওষুধের দোকানও চলছে লাইসেন্স ছাড়াই। সারা দেশে প্রায় দেড় লাখ দোকানের নিবন্ধন নেই। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার দোকান আছে যেগুলো খুবই নিম্ন মানের।
এ পরিস্থিতিতে করোনা মহামারীকে পুঁজি করে ঢাকাসহ সারা দেশের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে নতুন অসংখ্য ঔষধের দোকান। এগুলোও অধিকাংশই অবৈধ। অপর দিকে এইগুলোও উপেক্ষা করে ফুটপাতেও এসব দোকানের ব্যবসাও জমজমাট। তবে তদারকি না থাকায় নকল, ভেজাল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম বিক্রি হয় এসব দোকানে।
নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি ব্যবসায়িক মনোভাব এবং জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই অবৈধ দোকানগুলো ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্য মতে, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত ওষুধের দোকানের সংখ্যা এক লাখ ৫১ হাজার। এর মধ্যে গত দুই বছরে নতুন নিবন্ধন পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এই সময়ে আরও ৪৩৬টি মডেল ফার্মেসির অনুমোদন দেয় অধিদফতর।
তবে নিবন্ধন ছাড়া কতগুলো ওষুধের দোকান রয়েছে তার সঠিক কোনো হিসাব নেই তাদের কাছে। আর ফুটপাতের এই ঔষধ ব্যবসার তো কোনোভাবেই বৈধতা নেই। যেখানে ঔষধের দোকান বিষয়ে জানা গেছে, একটি খুচরা বা পাইকারি দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স নেয়ার পর প্রতি দুই বছর অন্তর নবায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়ন না হলে বিলম্ব ফি দিয়ে নবায়নের সুযোগ আছে। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও লাইসেন্স নবায়ন করছেন না অনেক ব্যবসায়ী।
সেক্ষেত্রে ফুটপাতের এইসব ঔষধের দোকানের না আছে কোনো বৈধ কাগজ,না আছে প্রশাসনিক কাঠামো, না আছে কোনো লাইসেন্স । দীর্ঘদিন এভাবে এই ফুটপাতের ব্যবসা চলতে থাকলেও বাতিলে কোনো উদ্যোগই নেয় না ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। অপরদিকে এইসব বিষয়ে নেই কোনো প্রশাসনিক নজরদারি।
Leave a Reply