রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টারঃ মোঃ জামাল উদ্দিন রনি
বাংলাদেশের রাজস্বখাতে আয়ের উৎসের মধ্যে অন্যতম বিদ্যুৎ খাতটি এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে।তাছাড়া এই বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ইজারাদারদের নিকট বরাদ্দ্ব দিয়েও বাৎসরিক প্রচুর পরিমাণে আর্থিক লোকসান গণতে হচ্ছে।কোনো একটা সময় ছিলো যে,মানুষ তার হাতের নাগালে চাইলেও বিদ্যুৎ পেতো না,কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সকল যায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়।এমনকি বর্তমান বাংলাদেশ গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যথেষ্ঠ প্রচেষ্টায় এই দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে অন্ধকার দূর করার চেষ্টা করেছেন এবং তারিই চেষ্টায় আজ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে।
তাইতো একথায় বলতে গেলে-“শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”।আর তার এই অপ্রতুল প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢাকার দক্ষিন অঞ্চলের প্রধান সড়ক যাত্রাবাড়ীর গোল চত্তরের পশ্চিমে শহীদ ফারুক সড়কের উপর ফুটপাতের দোকান,এমনকি আসপাশের অনেক বাসা বাড়ী রয়েছে যেখানে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এক যোগে সকল গ্রাহকদের কাছে মোঃ মিঠু নামটি মুখে মুখে।যাত্রাবাড়ীর সকল ধরনের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের প্রথম ও প্রধান মোঃ মিঠু তার নাম অক্ষুন্ন।এক কথায় বলতে গেলে “বিদ্যুৎ নিয়ে ভাবনা,আর না আর না,পাশে আছে মিঠূ ভাই-নেই কোনো ভাবনা”।ঠিক তারিই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই মোঃ মিঠু,তার ছেলে মোঃ তুহিন,এমনকি তার ছোটো ভাই মোঃ ঈসমাইল (সাবেক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো) কখনো বিদ্যুতের মিটার থেকে লাইন সংযোগ দেয়া হয়,আবার কখনো অমুক বাড়ীওয়ালা কিংবা কোনভাবে ম্যনেজ করে সংযোগ দিয়ে দিচ্ছেন বলে মোঃ মিঠু ( ০১৯৭৮৬৪৮৯৫১ )ও তার ছেলে মোঃ তুহিন (০১৪০২-৫৪১৬৪৪) জানান।
অথচ গতকাল রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তার উত্তর-দক্ষিনে অধিকাংশই ফুটপাত দোকানদের এই বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যপারে জিজ্ঞাস করলে-তারা অনেকেই বলে মিটার থেকে লাইন দেয়া হয়েছে,আবার অনেকেই বলে কোত্থেকে দিছে তারা সেটা জানে না,তবে উক্ত বিদ্যুৎ সংযোগটি মিঠু ও তার ছেলে মোঃ তুহিন সহ তার অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন লাগিয়ে দিয়ে যায় এমনকি লাইনে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তারা দেখে বলে এমনকি সন্ধ্যার পর পরই বাতি প্রতি ৩০ হতে ৫০ টাকা করে নিয়ে যায়।
উক্ত দোকানীদের কথা মতো পুরো যাত্রাবাড়ীর সকল স্থানে তথা যেখানে মিটার স্থাপন করেছেন বলে মোঃ মিঠুর সাথে ফোনালাপের মাধ্যমে জানা যায়,তার প্রেক্ষিতে অনেক খোজাখুজির পর কোনো মিটার পাওয়া যায়নি।পাশাপাশি এও উধঘাটন পরিলক্ষিত হয় যে,মোঃ মিঠুর নামে উল্লেখিত ডিপিডিসি অফিসের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায় যথাযথ কাগজ পত্রাদি ব্যথীত একটি অস্থায়ী মিটার দেয়া হয় এবং উক্ত মিটারের বকেয়া বাবদ ৪/৫ লক্ষ টাকা উক্ত স্বামীবাগ বিদ্যুৎ অফিস পাবে,এমনকি অফিস কতৃক এই বকেয়া বাবদ একটি মামলা দায়ের করেন।যা পরবর্তীতে মিঠুর নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয় এমনকি উক্ত মিঠুকে অফিস ও উক্ত অফিসের নির্দেশ মোতাবেক প্রশাসন খুজছে,কিন্তু তারা পায়না।
এক্ষেত্রে তার তথা মিঠুর দ্বারা উল্লেখিত অবৈধ সংযোগের মুল হিসেবে বিদ্যুতের খুটি হতে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রমান পাওয়া যায়।যা প্রতিদিন রাউন্ড দেয়ার সময় ডিপিডিসি অফিসের জরুরী বিদ্যুৎ কাজে নিয়োজিত কয়েকটি গাড়ি প্রতিনিয়ত ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়,যারা কখনোই উক্ত ব্যপারে আদৌ কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।কিন্তু কেনো করা হয়নি সেব্যপারে ডিপিডিসি অফিসের জরুরী বিদ্যুৎ কাজে নিয়োজিত গারিতে থাকা বিদ্যুতের অফিস কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা এক কথাই বলে যে এই ব্যপারে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানে।এতে করে তাদের কাছ হতে কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
আর এই অবৈধ সংযোগ শুধু যাত্রাবাড়ীতেই নয়,বরং টিকাটুলি,সায়েদাবাদ,উত্তর যাত্রাবাড়ী সহ অনেক যায়গায় পরিলক্ষিত হয়।কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় এই যে,যেখানে মাননীয় প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির ব্যপারে জিরো টলারেন্স হিসেবে অদ্যবদি অক্ষত রয়েছেন।আর তার এই দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান উক্ত বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তারা কতটুকূ মেনে বা পালনে কিংবা এই সকল সমুদয় বিষয়ে কতটা সক্ত থেকে প্রতিহত করতে পারবে তা জাতি দেখতে চায়।
পরিশেষে সকল জনগনের একটাই দাবি যে,এই সকল মিঠুদের কাছে কি বিদ্যুৎ অফিস সহ সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের কারনে বা ভয়ের কারনে জিম্মি,নাকি তারা এদের মতো সকল মিঠুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন সহ রাজস্বখাতে আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সঠিক ভুমিকা পালন করবে বলে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।
Leave a Reply