বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃমোঃ বিপ্লব
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দক্ষিন অঞ্চলের প্রধান সড়ক যাত্রাবাড়ীর মোড় ঘেষে পূর্বে চট্টগ্রাম,তার উত্তরে ডেমরা রোড এবং দক্ষিনে পুরো দক্ষিনাঞ্চলে যাওয়ার মুল সড়ক অবস্থিত।এই তিনটি রাস্তায় যাওয়ার পথে অগনিত বাস অবৈধভাবে স্ট্যন্ড করে যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করে আসে,যা সর্বক্ষণ ট্রাফিক ও সার্জেন্টদের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে।যার ভোগান্তি জনগনের উপর দিয়ে চলে বয়ে যায়।
এমতাবস্থায় উক্ত স্থানের আশপাশের স্থানীয় লোকজনেরা বিভিন্নভাবে প্রশাসনের নিকট,এমনকি ট্রাফিক,সার্জেন্ট ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের জানালে বিষয়টি দেখবে বলে আশা ব্যক্ত করলেও পরবর্তীতে তার আর সফলতা আসেনা।
ঠিক তেমনি যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার মোড় হতে পশ্চিমে শহিদ ফারুক সড়কের উপর দিন দিন অবৈধভাবে বেড়ে উঠা বাস স্ট্যন্ড ও বাহাদুর শাহ গাড়ীর এলোমেলো চলাচলের কারনে বিগত দিনে কিছু সাধারন জনগনের মৃত্যু ঘটে।যার ফলে কিছুদিন বাহাদুর শাহ গাড়ীর চলাচল বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তা আবার পুনরায় চলাচল করা শুরু করে।
এই ব্যপারে উক্ত স্থানে বিভিন্ন সময়ে কর্মরত থাকা ট্রাফিক ও সার্জেন্টদের অবগত করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।অথচ উক্ত গাড়ী গুলির অধিকাংশ গারীর ফিটনেস,ড্রাইভিং লাইসেন্স এমনকি গাড়ীর অপ্রাপ্ত বয়সের ড্রাইভারদের উপস্থিতি দেখা যায়।অনেক সময় রাতের অন্ধকারে গাড়ী চলাচলের সময় ও দেখা যায় যে,অপরদিক হতে আসা বাইক বা যে কোনো গাড়ী আসলে হর্ন বা ডিপার দিলে ও কোনো কাজ হয় না,কেনোনা বাহাদুর শাহ গাড়ীর অধিকাংশই লুকিং গ্লাস বিহীন ও লাইসেন্স বিহীন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেদের দিয়ে চলাচলের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এহেন অবস্থায় এই সকল ড্রাইভারদের দ্বারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে,যা একটি পরিবারের জন্য কালো শোকের ছায়া ও সন্তান হারানোর কষ্ট আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।এক পর্যায় এই সকল ভুক্তভোগীরা বলে উঠে যে,আর কত দুর্ঘটনা ঘটলে,খেটে খাওয়া মানুষ পঙ্গুত্ব বহন করে বেরালে ট্রাফিক পুলিশ,সার্জেন্ট ও পুলিশ প্রশাসন উল্লেখিত পরিবহন গুলির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে এক পর্যায় কান্নারত অবস্থায় মনের ব্যথা প্রকাশ করেন।তাছাড়া উল্লেখিত স্থানে প্রতিদিন ও প্রতিনিয়ত ৫/৬ জন করে ট্রাফিক ও সার্জেন্ট উপস্থিত থাকেন,এমনকি এই সকল বিষয় তাদের চোখের সামনেই ঘটে যাচ্ছে,তবুও যেনো কিছু বলার মত বা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে ব্যর্থতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন।তাহলে সেখানে সাধারন জনগণ কি করবে।
এই সকল ব্যপারে স্থানীয় লোকদের একটাই দাবি যে এর একটি স্থায়ী সমাধান কল্পে তথা যেহেতু যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়কের উপর বাস ও বাহাদুর শাহ গাড়ীর স্ট্যন্ড করার কোনো বৈধতা নাই,সেমতে উক্ত স্থান হতে এই সকল গাড়ীর স্ট্যন্ড অপসারন করে জনগনের স্বাভাবিক চলাচলের ও দুর্ঘটনা যাতে করে সংঘটিত না হয়,তার জন্য মোঃ সাইদুল ইসলাম(ডিসি ট্রাফিক-ওয়ারী) মহোদয়ের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন সহ সুদৃষ্টি কামনায় তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
তাছাড়া উক্ত এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দারা এবং চলাচল কৃত মানুষদের এই একটাই দাবী যে,আদৌ কি এই ব্যপারে ট্রাফিক ডিসি মোঃ সাইদুল ইসলাম মহোদয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করবেন কি ? না উল্লেখিত স্থানে এই সকল অবৈধ পরিবহনের রোষানলে পরে সাধারন জনগণ তাদের জীবন উৎসর্গ করে যাবে ? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে ভুক্তভোগী সকল জনগন তাদের মনের ব্যকুলতা প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply