মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
শ্রীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর পোদ্দারের সুদের টাকার চাপে সর্বশ হারালো শ্রীনগর বাজারের রনজিত কুমার দাস নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ী। রনজিত দাস উপজেলার শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের ব্রজের পাড়ার গ্রামের বাসিন্দা এবং শ্রীনগর বাজারের সুনামধন্য বিএম পোদ্দার ফার্মেসীর মালিক।
সরেজমিনে গিয়ে এবং ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর পূর্বে রনজিত দাস ঔষধ ব্যবসার প্রয়োজনে শ্রীনগর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী উপজেলার পোদ্দাপাড়া গ্রামের মৃত শ্যামমোহন পোদ্দারের ছেলে শংকর পোদ্দারের নিকট থেকে ব্ল্যাংক চেক বন্ধক রেখে ৪ লক্ষ টাকার নেয়। কিন্তু রনজিত টাকা সময়মত পরিশোধ করতে না পারায় দেড় বছরের রনজিতের কাছ থেকে সপ্তাহে ১১হাজার টাকা মাসিক ৫৫ হাজার টাকা করে এযাবৎ ৯ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সুদ নেয় শংকর পোদ্দার। শংকরের সুদের এ টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে রনজিতকে অন্যত্র সুদে টাকা আনতে হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই রনজিতকে হারাতে হয় তার উপার্জনের একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিএম পোদ্দার ফার্মেসী ও নিজের স্ত্রী ও ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে থাকা বসতবাড়ী টুকুও। দেড় বছরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকরকে ৪ লক্ষ টাকায় ৯ লক্ষ টাকার উপরে সুদ দেয়ার পরেও শংকর পোদ্দার মুল ৪ লক্ষ টাকার জন্য প্রতিনিয়ত রনজিতকে রাস্তাঘাটসহ বাড়ী গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এমনকি টাকা না দিলে রনজিতের কাছ থেকে নেয়া ব্যাংককের ব্লাঙ্ক চেক দিয়ে মামলা ঠুকে দিবে বলে হুমকি ধামকি দেয়।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী ট্যাক্স ফাঁকিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর পোদ্দার দীর্ঘদিন যাবৎ স্বর্ণের ব্যবসার আড়ালে শ্রীনগর বাজারে এ সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর পোদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সাংবাদিকদের
বলেন, আপনারা কে। আপনাদেরতো আমার দরকার নাই। আমার দরকার রনজিতকে। রনজিতকে নিয়ে আসেন। তার কাছে টাকা পাই সে টাকা দিবে। সে সুদে টাকা নিছে টাকা দিবে না কেন?
এব্যাপারে শ্রীনগর স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বর্ণ সমিতিতে আমরা স্বর্ণ বন্ধক রেখে সামান্য লাভে টাকা দেই। কিন্তু স্বর্ণ বন্দক রাখা ছাড়া অন্য কোন পথে টাকা দেয়া নেয়ার কোন নিয়ম নেই। শংকর পোদ্দার সেভাবে টাকা দিয়েছে সেটা কোন নিয়মের মধ্যে পরে না।
Leave a Reply