বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টার-মোঃ ওমর ফারুক
ভাতে মাছে বাংগালী,এটা বাংলাদেশের যেমন চিরচিরায়িত প্রবাদ,ঠিক তেমনি বাহিরের খাদ্যের প্রতিও রয়েছে বাঙ্গালীর এক ধরনের চাহিদা।আর এই সকল চাহিদা গুলি পুরোপুরি পূরণ করতে না পারলেও অধিকাংশই পূরণ করে আসতেছেন।যেমন ফার্স্ট ফুড,বেকারী সহ আরো অনেক ধরনের খাদ্য উৎপাদিত কারখানা গুলো।
অথচ সে সকল খাদ্য উৎপাদিত কারখানার অধিকাংশ খাদ্যে ভেজাল বিদ্যমান।যার কারনে প্রতিদিন যেই সকল কারখানার খাদ্য বাজারজাত করার জন্য যে সকল অনুমুতি বা ছাড়পত্র প্রয়োজন হয় তা না নিয়েই ওই সকল কারখানার খাদ্য বাজারে ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসতে থাকে,এবং উক্ত খাদ্যের ভেজালের কারনে ভোক্তাদের অনেকেই অনেক ধরনের অসুস্থতার স্বীকার হন এবং হচ্ছেন।
ঠিক তেমনি কিছু কারখানার খোজে দেখা যায় যে,রাজধানী ঢাকার পূর্ব-দক্ষিনে অবস্থিত রায়েরবাগ কদমতলী থানার অধীনস্থ এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে এবং রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন টিন শেড দিয়ে তৈরি ছোটখাটো ঘর গুলিতে চলছে নানান ধরনের ব্রেড,বিস্কুট বা কেক কিংবা আরো অন্যান্য সকল ধরনের বেকারী খাদ্য পন্য উৎপাদনের কারখানা।যার একটির’ও নাই কোনো পরিবেশ অধিদফতরের অনুমুতি পত্র।এমনকি বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন এর তথা বিএসটিআই এর রেজিস্ট্রেশন বা ছাড়পত্র পর্যন্ত নাই।সে সাথে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের ও কোনো অগ্নিনির্বাপক সনদ নেই।
অথচ সেখানে দিব্যি জনগনের ভোগ্যপণ্য উৎপাদন হয়েই যাচ্ছে।এই ব্যপারে কয়েকটি কারখানা ঘুরে তাদের কাছে উপরে উল্লেখিত সনদ আছে কিনা জানতে গেলে সকল বেকারী ব্যবসায়ী এবং কয়েকটি ইলেক্ট্রিক কারখানার মালিকগনেরা শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এ নিবন্দিত ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর তথা টিন সনদ ছাড়া আর বাকী সকল সনদ দেখাতে ব্যর্থ হন।
কেও আবার জানান যে তারা অনেকে নাকি উল্লেখিত সনদের জন্য আবেদন করেছেন।
সেক্ষেত্রে আবেদনের কাগজ দেখাতে ও ব্যর্থ হন।এমতাবস্থায় উক্ত কারখানা হতে উৎপাদিত পাউরুটি,বিস্কুট,কেক সহ আরো অনেক খাবার ঢাকার বিভিন্ন বাস স্ট্যন্ড,পাড়া-মহল্লায় এমনকি সদরঘাটের মতো আরো যেখানে নৌ-চলাচলের ঘাট রয়েছে সেখানে হরহামেশা বাজারজাত করা হচ্ছে।
তেমনি একটি কারখানা হতে বেকারীর হরেক রকম খাদ্য ক্রেতাগন তথা যারা কিছু অতিরিক্ত টাকা লাভের আশায় যে সকল হকার রয়েছে তাদের থেকে কিছু হকারদের সাথে এই সকল বেকারী খাদ্য পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম কানুন উৎপাদিত কারখানার থাকা দরকার,সেগুলো আছে কিনা বা তারা যে খাদ্য পণ্য বাজারে বিক্রয় করছেন তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা জানেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
শুধু তাই না,এই সকল খাবার উৎপাদিত কারখানায় যে সকল বাংলাদেশ তিতাস গ্যাসের সংযোগ রয়েছে সেটাই বা কতটুকু বৈধ রয়েছে,তা খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় কিছু জনগন (নাম জানাতে অনিচ্ছুক) বিশেষভাবে তিতাস গ্যাস এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন,এমনকি এই সকল কারখানার উৎপাদিত সকল খাদ্য বাজারজাত করার লক্ষ্যে যে সকল সরকারী অনুমুতির প্রয়োজন সেটাও খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply