বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
আরিচা প্রতিনিধিঃ
রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর অঞ্চলে যাওয়ার পথে ১০০ কিলোমিটার দূরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিটি বাংলাদেশের লাইসেন্সধারী যৌনপল্লির মধ্যে একটি,এমনকি অনেকটা বিখ্যাত ও বটে।যেখানে নেই কোনো বিধি নিষেধ সহ এমনকি পুলিশি হয়রানী।যেখান থেকে বৎসরে রাজস্বখাতে আর্থিক লাভবান হচ্ছে সরকার।
সেখানকার পল্লী হতে নেয়া এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে,সেখানে থাকা কয়েকশ পরিবারে গড়ে উঠা ছত ছত মেয়েদের উপযুক্ত বয়স হওয়ার পূর্বেই উক্ত মেয়ে শিশুদের যৌন কাজে নামিয়ে দেয়,এমনকি উক্ত অপ্রাপ্ত শিশুরা যদি কোনোরুপ আপত্তি প্রকাশ করে তাহলে তো রক্ষা নাই।সাথে সাথে উক্ত মেয়ে শিশুদের উপর চলে বর্বর অত্যাচার।
অথচ সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সের কোন নারী স্বেচ্ছায় যৌন ব্যবসা করতে চাইলে ও সি কাজ করতে পারবে না,আর যদি করেও থাকে তাহলে তাকে এই সকল কাজের জন্য প্রচলিত আইনে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে অনুমোদন নিতে হবে।
এমনকি আদালতের হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে যে তিনি এই দেহ ব্যবসায় বা পেশায় স্বেচ্ছায় এসেছেন, কারও চাপের মুখে পড়ে আসেননি।এমনকি উল্লেখিত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আদালত যদি মনে করেন যে,আবেদনকারী উল্লেখিত পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবেন,তাহলেই সেটা সম্ভব,অন্যথায় নয়।
তাছাড়া উল্লেখিত স্থানে অনেকের সাথে একান্ত গোপনীয়ভাবে এক সাক্ষাতকারে কথা বলে জানা যায় যে,উক্ত স্থানে এমন ও কিছু স্বার্থনেষী লোক বসবাস করে যারা নাকি বিভিন্ন জেলায় তাদেরি রাখা লোকদের দিয়ে বিভিন্ন গ্রামে,স্কুলে এমনকি পাড়া-মহল্লায় থাকা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে,আবার ঢাকায় ভালো কাজে লাগিয়ে দিবে সহ নানান ধরনের শিশু ও নারীদের ফুসলিয়ে উল্লেখিত স্থানে বিক্রি করে দিয়ে আসেন।সেই যাওয়ার পর একমাত্র আকাশকে দেখা ছাড়া তারা তাদের মা-বাবাভাই-বোন,এমনকি কোনো আত্বীয় স্বজনদের দেখতে পায়না,অর্থাৎ দেখার আশা তাদের স্বপ্ন হয়েই থেকে যায়।
তাছাড়া দৌলতদিয়ায় থাকা এমন এক যৌনকর্মীকে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক কয়েক বছর আগে এখানে পাচার করে আনা হয়েছিল। এখন বলতে গেলে এটাই তার স্থায়ী ঠিকানা।
এখানে যখন আমাকে আনা হয় তখন আমার বয়স ১৯ বছর ছিল। আমার এলাকার একজন আমাকে কাজের কথা বলে এখানে রেখে যায়। আমার পুরো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তারা এখানে থাকতে বাধ্য করে বলে এও জানায়।
এক কথায় বলতে গেলে,যে সকল নারীরা এখানে বিক্রিত হয়েছেন,যাদের আর কোনদিন এ থেকে বের হওয়ার নেই,এক কথায় মৃত্যু হলেও সম্ভব কিনা তারা আদৌ জানেন না,তাই এই সকল ধরনের আর কোনো সজ সরল নারীদের যেনো আর এই নরক নামীয় স্থানে বিক্রি হতে না হয়,পাশাপাশি মা হারা সন্তান কতটুকু কষ্টদায়ক সেটা সেই বুজে যার জীবনে ঘটেছে,তাই না হয় তাঁর প্রতি দৃষ্টি রেখে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তদন্তের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করে দুঃখ জড়িত ভাষায় আশা ব্যক্ত করেছেন।
Leave a Reply