নিজস্ব প্রতিবেদনঃ

বছরের পর বছর গ্রাহক সেবার নামে চলছে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি।যেখানে সারা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক ধাপে এগিয়ে নিয়ে আসছেন।আজ প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল,সেখানে এক শ্রেনীর কর্মকর্তাগণ দেশব্যপী ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছেন।তার মধ্যে যাত্রাবাড়ীর নাম সর্ব প্রধান।

ঢাকার মধ্যে যাত্রাবাড়ীর নামটি সকল লোকদের নিকট খুব সু-পরিচিত একটি জায়গার নাম।যেখনে প্রতিটি স্থানেই দিন দিন ফুটপাত গড়ে উঠছে।পাশাপাশি সেই সকল ফুটপাত দোকানীদের বিদ্যুৎ ছাড়া রাতের বেলায় কোনো ভাবেই চলেনা।সেখানে  অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছেন এক শ্রেনীর লোকজন।এই ব্যপারে বহুবার উল্লেখিত স্থানের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী অফিসের কর্মকর্তাদের অভিযোগ জানালে তারা কোনো ধরনের কর্ণপাত করেন না,বরং দেখতেছি,দেখবো বলে বিষয়টি অভিযোগ পর্যন্ত থেকে যায়।পরবরতীতে আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়না,অদ্যবদি হয়নি।

তাছাড়া বিগত কয়েকদিন আগে যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কের দক্ষি্নে অবস্থিত এবং উক্ত এলাকার সকল জনগনের সু-পরিচিত “রিগ্যাল” শো-রুমে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ হতে শর্ট সার্কিটের কারনে অগ্নি-সংযোগ কারোরি কাম্য ছিলনা।তাছাড়া যেখানে এতোটা সতর্কতার সাথে ওয়্যারিংয়ের সার্টিফিকেট প্রদানকারী উক্ত অফিসে নিয়োজিত ঠিকাদারদের দিয়ে করার পরও কিভাবে সেখানে শর্ট সার্কিট হয় তা কারোরি বোধগম্য নয়।

বিদ্যুতের নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে এতোটা সতর্কতার পরও এই সকল দুর্ঘটনা উল্লেখিত অফিসের কোনো কর্মকর্তা এড়িয়ে যেতে পারেনা,কেনোনা উল্লেখিত অফিসের কর্মকর্তাগণ তাদের নিজস্ব দক্ষ ঠিকাদারদের দিয়ে অত্যান্ত যত্ন সহকারে সতর্কতার সাথে ওয়্যারিংয়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে থাকেন।

তাছাড়া বিগত কিছু বছর যাবত শহীদ ফারুক সড়ক হতে দয়াগঞ্জ যাওয়ার দক্ষিন দিকের বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাই সময় লোডসেডিং হয়ে আসছে।এই ব্যপারে উল্লেখিত অফিসের গ্রাহক সেবা প্রদানকারী অভিযোগ গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের জানালে তারা এক কথায় উত্তর দিয়ে বলেন যে,শ্যামপুর ফিডারে সমস্যা।অথচ গ্রাহকদের প্রদেয় বিদ্যুৎ প্রদানে ব্যর্থ উক্ত অফিসের কর্মকর্তাদের যাত্রাবাড়ীতে গড়ে উঠা ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কোনো প্রকার মাথা ব্যথা নেই।

প্রবাদে আছে-“বিনা লাভে তুলার বোঝাও কেও মাথায় নেয় না”।সত্যি বলতে এই সকল ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পেছনে উল্লেখিত অফিসের অনেকেরি সহযোগীতা রয়েছে।তাছাড়া যেখানে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র এক কথা যে কোনো খাতে সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কোনো দুর্নীতি’কে কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবেননা যেনেও উল্লেখিত স্বামীবাগ ডিপিডিসি অফিসের আওতাধীন যাত্রাবাড়ীর ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কিভাবে সাহস হয় তা সত্যি অবাক করা বিষয়।

একেতো গ্রাহকদের প্রদেয় বিদ্যুৎ সেবা প্রদানে উল্লেখিত অফিস কর্মকর্তারা সর্বদাই ব্যর্থ,সেখানে আর যাই হউক ফুটপাতে বিদ্যুৎ প্রদানে তাদের ব্যর্থতা বিন্দু পরিমান প্রকাশ হয় না।

তবে এই ব্যপারে উক্ত অফিসে বিভিন্ন সময়ে বিভিন নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,তারা কোনো প্রকার অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বরদাস্ত করবেননা। অথচ প্রতিনিয়ত এই সকল ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েই চলচ্ছে।সর্বশেষ উল্লেখিত অফিসের নিরাবাহী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার এর সাথে এই ব্যপারে কথা বলতে গেলে তিনি উল্লেখিত ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা প্রয়াকাশ করলেও পরে তিনি কোনো একদিন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার কিছু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সফল হলেও পরবর্তীতে তার স্থায়ীত্ব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি।এমনকি উক্ত ব্যপারে বেশ কয়েকবার পত্রিকায় দেয়ার পরও বর্তমানে নিয়োজিত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি,বরং সর্বদাই এড়িয়ে আসছেন।

আর এই সকল অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ এর কারনে আসল বিদ্যুৎ গ্রাহক সেবা গ্রহনকারীরা ঠিকমতো বিদ্যুৎ সেবা থেকে অদ্যবদি বঞ্চিত রয়েছেন।আর এই সকল দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখিত সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র হস্তক্ষেপ কামনা করে আসছেন।

তাছাড়া উক্ত খাত হতে উল্লেখিত অফিসের ফুটপাতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারনে প্রতি বছরে যে পরিমান রাজস্ব সরকার হারাচ্ছে তা সত্যি অকল্পনীয়,আর এই রাজস্ব ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে এবং উল্লেখিত অফিসের আওতাধীন সকল বিদ্যুৎ সেবা গ্রনকারীদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার নিমিত্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হস্তক্ষেপ চাহিয়া সকল গ্রাহকরা দাবী জানিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।