বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামে স্ত্রীর শ্বশুর-শাশুরীর চলমান অত্যাচারে রাব্বি (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় গলায় ওরনা পেচিয়ে গরের আড়ার সাথে ফাস লটকে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, দের বছর পূর্বে কামরাঙ্গীচর এলাকার মেয়ে কেয়া ওরফে সপ্নার বিবাহ হয়। মৃত রাব্বি পেশায় অটো চালক ছিলেন, স্বামী স্ত্রীর সাংসারিক পারিবারিক সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সপ্না তার বাবা মা কে ডেকে পাঠান। তারা এসে কারও সাথে কোন কথা না বলে তাদের মেয়ে ও বাসার কাপড়-চোপড় এমনকি সকল কাগজ পত্র নিয়ে চলে যেতে চাইলে রাব্বি বাধা দিতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর তাকে বেদম মার-ধর করতে থাকলে রাব্বির মা কহিনুর বেগমের চিৎকার করলেও তিনি না থেমে পুনরায় লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকেন, এ সময় রাব্বির ভাবি থামাতে আসলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেন রাব্বির শ্বশুর। আহত রাব্বি পরে থাকলে তারা পূর্ব পরিচিত প্রতিবেশি বুরুনী ওরফে মৌসুমীর সহায়তায় গাড়ি যোগে স্হান ত্যাগ করার চেস্টা করলে স্হানীয় জনতা তাদের লাচ্ছিত করেন বলে জানা গেছে।
উক্ত ঘটনার আলোকে উভয় পক্ষ ওই দিন ১৯ তারিখ রোজ রবিবার থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেন। বিষয়টির সুস্হ সমাধানের নিমির্ত্তে ২০ দিনের সময় নিয়ে মেয়েসহ চলে যান রাব্বির শ্বশুর। ওই দিন পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও পর দিন সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে রাব্বির মোবাইল ফোনে স্ত্রী সপ্ন্ কল করে অকথ্য ভাষায় গালা গালি করেন তার প্রতিক্রিয়ার সুত্র ধরে আনুমানিক সাড়ে ৯টায় গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার ঘটনায় মৃত রাব্বির মাতা কহিনুর বেগম বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। মৃত রাব্বির ভাই জানায়, আমার ভাইয়ের শ্বশুর শাশুরী আমাদের কোন অবিভাবককে অবগত না করে বাড়ির মাল ছামানা ও ভাইয়ের স্ত্রী কে নিয়ে চলে যেতে চাইলে সে বাধা দেওয়ায় তাকে নিমর্মভাবে পিটিয়ে আহত করেন। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সুষ্ট সমাধানের লক্ষে তাদের যেতে দেন পর দিন সকালে সপ্না মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দেন এতে লাজ লজ্জায় সে আত্মহত্যা করেন।
তার ভাই আরও জানান, তারা এসে তাদের মত করে আমার ভাই কে ভিন্ন করে দেন আমরা তাও মেনে নেই। কিছু দিন পূর্বে এক লাখ টাকা মিশুক গাড়ি বিক্রী করে বউ কে ৩০ হাজার টাকার মার্কেট করে দেন বাকি টাকা গর হতে তারা নিয়ে যায়। পাশের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে আমার মায়ের নিকট থাকা দুই ভরি স্বর্ণালংকার তার জিম্মায় নিয়ে নেয়। ভাই কে দিয়ে কিস্তির টাকা তুলে সেটাও আত্মসাৎ করেন।এমনকি তারা আমাদের বাড়িতে এসে ভাই কে মার-ধরও করলো আবার ভাই ও মারা গেলো,আমরা এর বিচার চাই বলে দাবী জানান।
নিহত রাব্বির মাতা কহিনুর বেগম বলেন,আমরা গরিব তাই আমরা বিচার পাবো না। আমার ছেলে কে তারা দীর্ঘ দিন ধরে নির্যাতন করছিলো আর এখন ত মেরেই ফেললো। আমি এই হত্যাকারীদের বিচার চাই। আর যেন এমন মেয়ে ও পরিবারের পাল্লায় পরে কাউকে মৃত্যু বরন করতে না হয়। এ দিকে মৃত রাব্বিকে দাফনের জন্য নিজ বারিতে নিয়ে আসলে দেখতে আসেননি স্ত্রী সপ্না ওরফে কেয়া। উক্ত ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply