রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জাকির লস্কর:
বাংলাদেশ-মিয়ানমার পয়েন্ট সীমান্তে স্থল বন্দর চালু হলে পন্য আমদানি-রপ্তাানি বারবে। দেশের অন্যান্য স্থানের চাইতে সুবিধাজনক ভাবে মায়ানমারের সাথে আমদানি ও রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ এমনটা মনে করছেন সীমান্তের অনেক ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল। তারা মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি সীমান্ত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক দৃশ্যমান, দোহাজারী-ঘুমধুম যাওয়ার রেল লাইন প্রকল্পের কাজ রামু উপজেলায় চলমান রয়েছে। অন্যদিকে আরকান সড়ক থেকে চাকঢালা যাওয়ার রাস্তা আছে পুর্ব থেকেই। সামান্য সম্প্রসারণ করা হলে মায়ানমারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে চাকঢালা দিয়েও।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হযে মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য বন্দর স্থাপনের সাম্ভাব্যতা যাচাই করতে ২০১৭ সালে সরকারের তৎকালীন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান নাইক্ষ্যংছড়ির এ দুটি স্থান পরিদশর্ন করেছিলেন। এরপর থেকে স্থলবন্দর নির্বাচনের বৃদ্ধি পায় তখন থেকেই। যদি এদু’টি স্থলবন্দর স্থাপিত হয় তা হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির চাকা ঘুরবে দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষের। ইতিহাস রচিত হয়ে সম্ভাবনার সম্ভবনার নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ, পেয়াঁজ, মাছ, আদা সুপারি মাসকলাই আচার শুকনো বরই তেঁতুল সিমের বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানি করে থাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকেও ্ঔষধ, রড ও সিমেন্ট সহ প্রসাধনসামগ্রী এলমুনিয়াম ইত্যাদি রপ্তানি হচ্ছে মিয়ানমারে।
স্থলবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলে আশপাশ এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে। সম্ভাবনার এক মহা সুযোগ সীমান্তে বন্দর প্রতিষ্টা। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চান এ ব্যবসায়ী নেতা।
Leave a Reply