মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
শাহ জালালের আত্মহত্যার প্রোরোচনাকারীর প্রধান আসামী টিকটকার মামলার প্রধান আসামী পপি আক্তার (২৭) কে গ্রেফতার করেছে গজারিয়ার থানা পুলিশ। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৬টার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসআই সেকেন্দর আলী। ৪ জনকে আসামী করে মামলা হয় এই মামলায় ওয়ারেন্ট হয় আসামীদের। প্রধান আসামী পপি আক্তার (২৭), আশা (২০) উভয় পিতা শাহ আলম, শাহ আলম (৫২) পিতা রমজান, মাহিনুর বেগম (৪৭) স্বামী শাহ আলম সর্ব সাং বড়রায়পাড়া, গজারিয়া।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, মাহফুজ মিয়া (৭৯) এর ছেলে শাহ জালালের সাথে পারিবারিকভাবেই বিবাহ হয় প্রায় ৯বছর পূর্বে। বিবাহের পর থেকেই ছেলের বউ বখে যায়। বিভিন্ন ছেলেদের সাথে মিশে সে টিকটক ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ সকল বিষয় নিয়ে তার ছেলে শাহ জালালের সাথে সম্পর্কের অবনিত ঘটে। টিকটক করার সুবাধে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পপির সম্পর্ক তৈরী হয়। এ বিষয়ে ছেলে বাঁধা দিলে পপি ছেলেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি ধামকি প্রদান করিত। ২১ জুলাই শাহ জালাল শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। তার স্ত্রীর বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের কথা জানাইলে শ্বশুরবাড়ির অন্য সকলে ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করে। তারা এও বলে কেন শাহ জালাল এখনো কেরি টেবলেট খেয়ে মারা যায় না। শ্বশুরবাড়ির এহেন অত্যাচারে টিকতে না পেরে ২২ জুলাই পরের দিন বাড়িতে চলে আসে এবং বাড়ির দক্ষিণ পাশের দুচালা টিনের ঘরর ভিতরে বিশ পান করে অসুস্থ হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করানো হয় কিন্তু রাত ১১টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় শাহ জালালের পিতা মাহফুজ মিয়া বাদী হয়ে ২৪ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২০।
পপি আক্তারের সাথে শাহ জালাল (৩০) এর ৯ বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসারে সানজিদা (৭) সাইফা (৪) দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী জানান, একজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারেও অভিযান অব্যহত আছে।
মুন্সীগঞ্জ, ০৫.০৯.২০২২ খ্রি.
Leave a Reply