রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জাকির লস্কর:
মুন্সীগঞ্জ শহর হতে ঢাকার দুরত্ব মাত্র ২৭ কিঃ মিঃ চলাচলের পথ। এই পথ চলাচলের জন্য অগ্রগামী মুন্সীগঞ্জ জেলাবাসীকে একাদিক রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। যেমন একেক থানার লোকজন একেক রাস্তা ব্যবহার করে থাকে ভৌগোলিক কারনে। মাত্র ৬টি ( ছয় ) থানা, গজারিয়া থানা , চলাচল হয় নারায়নগঞ্জ কাচঁপুর দেড় ঘন্টায়, মুন্সীগঞ্জ সদর চলাচল করে নারায়নগঞ্জ সদর হয়ে ৪/৫ঘন্টায়।
টঙ্গীবাড়ী চলাচল করে বেতকা হয়ে সিরাজদিখান বালুর চর মোল্লার বাজার কেরানীগঞ্জ হয়ে এক/দেড় ঘন্টায়, সিরাজদিখানের আংশিক, লৌহজং, শ্রীনগর চলাচল করে ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক দিয়ে দেড় ঘন্টায়। এই জেলার সহজ সরল জনগন বাংলাদেশের জন্য মহাবিপদ সীমানায় বসবাস করে নিরব অন্ধ রুপে। কোন প্রতিবাদ নাই কারোর মুখে। নেই এই জেলার শক্ত অভিবাবক প্রতিবাদ করার জন্য। যাহা ছিলো তা যেনো কোন এক অদৃশ্য ইশা রায় প্রশাসক, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় নিঃচুপ হয়ে আছে। কেউ জেলার উপকারে নেই বললেই চলে, যেমনটি ছিলো ৮০”দশকে জনগনের জন্যে নেতা আর প্রশাসন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও ১৫ % কাজ হলো না সিরাজদিখান কেরানীগঞ্জ মোল্লার বাজার ব্রিজের।
এই ব্রিজ হলে মুন্সীগঞ্জ জেলার এক নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে বলে এলাকাবাসীর কথা।স্থানীয় মোল্লার বাজারের জালাল বলেন, এই ব্রিজটির কাজ করা হলে জনগনের অনেক সুবিধা হবে। অনেক সময়ই এই নদী পারাপারে দুর্ঘটনা হয়ে থাকে, জনপ্রতি ৫ টাকা দিতে হয়। এই সড়কে চলাচল রাতের পরে ভোগান্তির শেষ নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচলে খুবই বিপদ জনক হয়ে উঠে। ছিনতাই, রাহাজানি নিত্য নৈমিতিক ঘটনা। হাজার হাজার লোকের চলাচলের পথটি দিয়ে।
এ বিষয় কথা হয় মোল্লার বাজার কোন্ডা ইউপি চেয়াম্যান ফারুক চৌধুরীর সাথে। ফারুক চৌধুরী জানান, এই ব্রিজটি অত্র এলাকার জন্যে খুবই প্রয়োজনীয়। দুঃখের বিষয় এই ব্রিজটি বারবার কাজ করতে গিয়েও ঠিকাদারের অর্থ ধৈন্য দশায় কাজের স্থবিরতায় থমকে আছে। তিনি বলেন, মনে হয় ঠিকাদার গরিব, অর্থের অভাবে কাজের গাবিলতি চালাচ্ছে ঠিকাদার। আমি আমার ইউনিয়নের মান্য বর জনগনদের নিয়ে উপজেলার চেয়াম্যানও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বেশ কয়েক বার কাজের তাগিদ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা অফিসার ইচ্ছা করলে এই ঠিকাদার চেঞ্জ করতে পারে। কিন্তু ঠিকাদার যদি হাই কোটরিট করে, তবে এই ব্রিজটি আর হবেনা। ঠিকাদার অন্য কোন কুটবুদ্ধি আটলে তা হানষ্ট হয়ে যাবে আমরা চাই ধীর গতিতে হলেও এই ব্রিজটি হউক। এই ব্রিজটি মুন্সীগঞ্জ ঢাকার যোগাযোগ আরো সহজকরে দিবে। সরকারী সংস্থার ও উচিৎ ব্রিজের কাজ উঠানোর জন্যে ঠিকাদারকে সার্বিক সাহায্য করা। ঘুষের বিষয় আমি কোন কথা বলতে পারিনা। আমাদের দেশের নিয়মনীতি হয়ে গেছে পার সেন্টন্টিস আর ঘুষ ।
এ বিষয় কোম্পানির সাইড ইঞ্জিনিয়ার নিবির আহম্মেদ বলেন সামনে যে সময় বাধানো আছে সে সময়ও এই মোল্লার বাজার ব্রিজ হবে বলে ধারনা করে সাংবাদিকদের তথ্য দেন। তিনি আরো বলেন এই ব্রিজকে কেন্দ্র করে দুটি ট্রেন্ডার হয়। আমাদের সুরমা এন্টার প্রাইজের কাজ যদিও হবে অন্যটি পালাবে,( কিন্ডম ) হবেনা,কাজ ফেলে পালাবে। তার কারন হলো পর্ণের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে পালানো ছাড়া আর কি করবে?
ইউক্যান যুদ্ধ, আড়াই বছরের ”করোনা” জন্য লেবার, আরওয়ার কারের বেতন দিয়ে কোম্পানি রক্ষতি দায়িছে দ্বিগুন। সরকারের পক্ষ হতে এর দায় ভার নেবেনা। কাজের মালামাল ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানির আরো বড় লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে। এই দৃষ্টিতে এলজি ই ডি কোন কোম্পানিকে সহয়তা দিবে দুর থাক আরো বেশি অংক নেয়ার পরিকল্পনা করে থাকে।
এ বিষয় এল,জি, ই, ডি,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলি সড়ক ও সেতু ইউনিট আলী আক্তার হোসেন বলেন, কাজের প্রতি আমাদেরও দায়িত্ব আছে। তবে এই ব্রিজের বিষয় আমার ধারনা নাই, কেনো হচ্ছে না জানতে চাইলে ফোন আলাপে বলেন। তবে প্রকল্প পরিচালকে জানালে তিনি বিষয়টি জানাতে পারবেন।
্বিষয়টি নিয়ে কেরানী গঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যান শাহীন আহমেদ বলেন এই কাজটি নিয়ে ঠিকাদার ও ঢাকা জেলার এক্সচেঞ্জ গরিমসি করছেন। আমি আমার লোকদের নিয়ে বেশ কয়েক বার তাগিদ দিয়েছি সেত ুকতৃপক্ষকে। ঠিকাদার বদল করতে ও বলেছি এক্সচেঞ্জ কোন কথাই শুনেনা। এই ঠিকাদার দিয়ে এমন প্রকল্পের কাজ উঠানো কঠিন হবে। তিনি আরো জানান , এই মোল্লার বাজার ব্রিজ এক্সচেঞ্জ অবহেলা করে কি চায় তাহা আমার জানা নাই। তাকে ফোন দিয়ে আপনি জানতে পারবেন ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কেনো নতুন ট্রেন্ডার হয়না।
এ বিষয় কথা বলার চেষ্টা করি ঢাকা জেলার এলজি ই ডি জেলা এক্সচেঞ্জ জিএম মজিবুরর হমানের সাথে, একাদিক বার ফোন কররেও তার মোবাইলে ফোন রিং বন্ধ পাওয়া যায়।
মোহাম্মদ জাকির লস্কর
শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ
০৭/০৯/২২
Leave a Reply