বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
শ্রীনগর(মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মোহাম্মদ জাকির লস্কর
“ আমাদের ছোট নদী চলে বাকে বাকে, বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি” কবি গুরু রবিন্দ্র নাথের বিখ্যাত কবিতাটি এখন স্বপ্নের মতো মনে হয়। ভারতের সিমান্ত শহর বনগার মতিগঞ্জ ব্রীজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেনাপোল থানার পুট খালি সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইছামতি নদীটি।
ধলেশ্বরীর শাখা হতে মূলত সিরাজাদখান উপজেলার ইছামতি নদীর উৎপত্তি। কতিপয় স্থাণীয় প্রভাশালী ভূমিদস্যুদের একের পর এক নিজের জায়গার সাথে নদীর তীরবর্তি অংশ দখল নিয়ে নির্মান করেছেন নানা ধরনের স্থাপনা। বছরের পর বছর কচুরিপানা ও খনন কাজ না করার ফলে সেচ কাজ ব্যহৃত হচ্ছে। পাশা পাশি দেশীয় মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্তির পথে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও ঐতিহ্য বাহী ইছামতি নদীটি হারিয়েছে যৌবন। নদীটির বুকে এখন চাষ হচ্ছে আলু, পেয়াজ, রশুন, টমেটো, লাউ, কুমড়া, পুইসাকসহ নানা ধরনের শাকসব্জি।
এক সময় এ নদী দিয়ে পন্য বাহি লঞ্চ, স্টিমার, নৌকা চলা চল করতো। মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অতি সহজেই তাদের পন্যবাহী মালামাল অনায়াসে নিতে পারতেন। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ইছামতি নদীটি এখন যেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।
এলাকাবাসির দাবী অতিসত্তর নদীটির দু’পাশের দখল দারদের উচ্ছেদ ব্যবস্থাসহ পূর্ন খনন করে ঐতিহ্যবাহী খালটি মানচিত্র থেকে যাতে হারিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply