মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে ভুয়া খতিয়ানের জমি রেজিষ্ট্রি দিয়ে পুনরায় ১০ লাখ টাকা দাবী করেছে একটি দালাল চক্র। এ ব্যপারে ১১ জন কে আসামী করে আদালতে জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের বিনয়পুর গ্রামের দুলাল হোসেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারী একই উপজেলার মসলেম পাইকান গ্রামের মোশারফ হোসেন গং এর সাথে বিনিময় জমি রেজিষ্ট্রি করেন। তারা ১৩ খতিয়ানে ১ দশমিক ৬০ একর জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। বিনিময়ে মোশারফ হোসেন গংও কয়েকটি খতিয়ানে ১ দশমিক ৬০ একর জমি দুলাল হোসেন গং কে রেজিষ্ট্রি করে দেন।
এই জমির মধ্যে এস এ ৮৭ ও ৮৮ নং খতিয়ানের ১৮ শতক জমিতে তারা ১৮ লক্ষ টাকা ব্যায় করে রাইচ মিল ও চাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে মোশারফ হোসেন গং চাতাল মিলে এসে এই জমি তাদের বোনের অংশ হিসেবে দাবী করেন। তারা বলেন যে খতিয়ান উল্লেখ করে জমি রেজিষ্ট্রি হয়েছে তা প্রকৃত নয়। প্রকৃত খতিয়ান নাম্বার আর এস ৪৮ ও ৭৬। এই জমির মালিক তাদের বোন নুরজাহান এবং ভাতিজার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন।
আসামী পক্ষ তাদের বোন ও অন্য অংশিজনকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন । টাকা না দিলে তারা জমি দখল করবেন। পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুলাল হোসেন বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। দুলাল হোসেন জানান, ভূয়া খতিয়ানের মাধ্যমে আমাদেরকে ৮৭ খতিয়ানের ৩৮৮ দাগে জমির পরিমান ৩ শতক হলেও রেজিষ্ট্রি দেয় ৬ শতক, ৮৮ খতিয়ানের একই দাগে জমির পরিমান ৭ শতক হলেও আমাদেরকে রেজিষ্ট্রি দিয়েছে ১২ শতক। এখন জমি পুনরায় ঠিক করে চাইলে তারা ১০ লক্ষ টাকা দাবি করছেন । তাই আদালতে মামলা করেছি। এ বিষয়ে আসামী মোশারফ হোসেন জানান, আমরা তাদেরকে বিনিময় রেজিষ্ট্রির জমি দখল সহ বুঝে দিয়েছি। তারপরও তারা ভূয়া মামলা করেছে । আমরা কোন টাকা পয়সা চাইনি। তদন্ত অফিসারকে সব কাগজ পত্র দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট হলে সব বোঝা যাবে। আমাদেরকে হয়রানী করছে। আমরাও হয়রানীর প্রতিবাদে মানহানী এবং ভূয়া মামলার প্রতিবাদে মামলা সহ সবকিছু করবো।
এ মামলা তদন্ত করার জন্য দেবীগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। দেবীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার নিশাদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply