সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বাকেরগন্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের অবহেলিত একটি ওয়ার্ড দঃসাদিশ।নদী ভাঙ্গন এই দক্ষিন সাদিশ গ্রামের অধিকাংশই ভুমি আজ নদীর তলদেশে।তার মধ্যে দক্ষিন সাদিশ গ্রামটি খুবই ছোটো।উল্লেখিত গ্রামে বসবাসকারী মৃত ফুল শরীফের ছেলে শামীম শরীফ ভুমিদস্যুতা ও তার নিজস্ব বোটের মাধ্যমে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকদের নিকট সরবরাহের অন্যায়ের পরিমান বেড়েই চলছে।
উলেখিত শামীম শরীফ একজন স্থানীয় বিভিন্ন ইট ভাটায় মাটি সরবরাহের ব্যবসায় জড়িত।আর যে সকল ইট ভাটায় ইট তৈরিতে মাটি প্রয়োজন হয় সে সকল ইট ভাটার মালিকদের প্রতিদিন ও প্রতিনিয়ত সেই সকল ইট ভাটায় ইট তৈরিতে প্রচুর পরিমাণ মাটির যোগান দিয়ে থাকেন।আর এই মাটি উল্লেখিত শামীম শরীফ কলসকাঠি ইউনয়নের পাণ্ডব নামক একটি নদীর কিনারা হতে প্রতিদিন রাতের আঁধারে লোকজনের অগোচরে ভেকুম মিশিনের সাহায্যে মাটি কাটার লোকজন দিয়ে সংগ্রহ করে আসতে থাকে যা অদ্যবদি বিদ্যমান।এই ব্যপারে আরো জানা যায় যে উত্তোলিত মাটি শামীম তার নিজস্ব পাঁচটি (৫) বোটের মাধ্যমে সরবরাহ করে আসছে।
এ ব্যপারে উল্লেখিত গ্রামবাসীরা “ভুমিদস্যু হটাও-সাদিশ বাচাও” শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত দক্ষিন সাদিশ গ্রাম। কিছুদিন আগে নদীভাঙ্গন রোধ ও ভুমিদস্যু শামীম শরিফের বিরুদ্ধে মানববন্ধন তথাপি অনেক ধরনের প্রতিবাদ করলেও কোনো প্রতিকার পাননি।এমনকি মানববন্ধন করেও প্রশাসনিক হতে কোনো প্রকার সহায়তার প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়নি।
তাছাড়া স্থানীয় প্রতিনিধিদের চোখের সামনে এই মাটি কাটা কাজ শরিফ প্রতিনিয়ত করে আসছে,তাদের কাছে বিষয়টি নিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ চোখে না পরার মত।
তাছাড়া উক্ত গ্রামের সাধারণ মানুষদের দাবী যদি এই কর্মকাণ্ড দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকে তাহলে এক সময় পুরো গ্রামটি একদিন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এহেন অবস্থায় অবৈধ মাটি সরবরাহকারী শামীম শরিফের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে বিশেষ অনুরোধ করে তাদের মত প্রকাশ করেন।
Leave a Reply