সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোহাম্মদ জাকির লস্কর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রীনগর উপজেলা শাখা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন মে মাসে। সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে আ. লীগের হাইকমান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।
পিছিয়ে নেই সাবেক মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মনির হোসেন মিটুল। তিনি ভাগ্যকুল ইউনিয়নের আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে কথা হয় মনির হোসেন মিটুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সৎ যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি দলে অনুপ্রবেশকারী নই। ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং কোন অপরাধের সাথেও কোনদিন জড়াইনি। এ কারণেই
ভাগ্যকুল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা সাবেক সদস্য হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রার্থী কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে মনির হোনের মিটুল বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন; আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য। স্বাভাবিকভাবে শ্রীনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আপনার পরিকল্পনা কী; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে চাই। প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে চাই। দলকে সু-সংগঠিত করতে যা করা প্রয়োজন তার সর্বোচ্চটা করতে চাই। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এমন ব্যক্তি হতে হবে। টাকা ও অস্ত্রের জোর যাদের আছে তারাই শুধু যোগ্য নয়। তাদের যোগ্যতা নির্ভর করবে আদর্শের প্রতি, নেত্রীর প্রতি, দলের প্রতি তাদের কতখানি শ্রদ্ধা আছে এ বিষয়ের উপর জোর দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চাই।
মনির হোসেন মিটুল বলেন, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক জীবন। একটা দিন একটা মুহুর্তও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি।7 ১/১১ শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃস্বময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। বিএনপি’র সময় ১১টি মামলা হইছে আমার বিরুদ্ধে। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
Leave a Reply