বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
অনিক রহমানঃ ঢাকা প্রেসক্লাব,যার স্থাপিত সময়কাল ১৯৮৪ সালে এবং রেজিস্ট্রেশন নং ঢ-০২০২৯ এবং প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সাইফুল ইসলাম দিলদার।তবে পরবর্তীতে এই সাইফুল ইসলাম দিলদার উল্লেখিত সাংবাদিক ক্লাবের সকল দায়দায়িত্ব ততকালীন জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজার এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়া এমনকি উক্ত ক্লাবের কর্মচারী ইউনিয়ন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জানে আলমের নিকট হস্থান্তর করেন-যার সময়কাল তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের মার্চ মাস।
পরবর্তীতে জানে আলম উল্লেখিত ঢাকা প্রেসক্লাবের সম্মানকে এবং এর প্রচার’কে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এক গচ্ছ সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে নতুন করে যাত্রা শুরু করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে তেমন কোন ফলপ্রসূ বয়ে আনতে পারেনি।তার দেয়া প্রথম কমিটিতে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া কাজী ফরিদ আহমেদ ছিলেন একজন স্কুল মাস্টার এবং সাংবাদিকতা সম্পর্কে তার কোনো ধারনা না থাকলে ও ক্লাবের জন্য সে এতো বেশি উৎসাহ ছিলেন যে-উক্ত ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও প্রমানাদি বানিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী অফিসদেরকে বোকা বানিয়ে কয়েকটি ডকুমেন্ট তৈরি করে এবং চাদাবাজী,ভুমি দখল সহ আরো নানান অপরাধমুলক কাজে লিপ্ত হতে থাকেন এবং যার ফলে একাধিক তথা দৈনিক ভোরের কাগজ,দৈনিক অন্যদিগন্ত,দৈনিক জনতা,দৈনিক স্বাধীন সংবাদ সহ আরো অনেক সংবাদ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।এমনকি নারায়ঙ্গঞ্জে ভুয়া সাংবাদিক ও প্রতারক নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং নারায়ঙ্গঞ্জ বন্দর থানায় একটি মামলা হয় যার মামলা নং ৩৯,তাং ২৮/০১/২০২৪,ধারা নং-৪২০/৩৮৫/৩৮৬।
এমনকি ঢাকা দক্ষিনের প্রানকেন্দ্র বর্তমানে যাত্রাবাড়ী আর তৎকালীন ডেমরা থানাধীন ১৬৪ উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী হোল্ডিংয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে একটি ছাড়পত্র তৈরি করেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও জালিয়াত বলে উক্ত বাড়ীর মালিক দাবী করেন।পরবর্তীতে উক্ত প্রত্যায়ন পত্রের বিরুদ্ধে উল্লেখিত হোল্ডিং বাড়ীর মালিক তিনশত (৩০০)টকার স্ট্যাম্পে লিখিত আকারে নোটারী পাবলিক সার্টিফিকেট করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকল অফিসে প্রেরন করেন।
যেখানে উক্ত বাড়ীর মালিকের মুল উদ্দ্যেশ্য ছিলো কাজী ফরিদ আহমেদ একজন প্রতারক আর এই প্রতারণা করে যে ছাড়পত্রটি তৈরি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও জালিয়াত,আর এই জালিয়াতি করে প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে সে যেনো কোনো প্রকার বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে না পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
তাছাড়া উল্লেখিত ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্য/সদস্যা বানিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ও অর্থ আত্বসাত করার ব্যপারে তার ছিলো খুভ শিক্ষনীয় দক্ষতা।ঠিক তেমনি অনেক লোকদের থেকে কাজী ফরিদ বিপুল পরিমান অর্থ আত্বসাত করে সদস্য/সদস্যা,আজীবন সদস্য/সদস্যা পদে নিযুক্ত করেন।আর তার (কাজী ফরিদ আহমেদের)বৈধতা জানতে চাইলে অনেক সাংবাদিকদের তিনি তার www.dhakapresclub.org ওয়েবসাইটটি দেখতে বলে দেন এবং সেখানে তার ক্লাবের সকল প্রমানাধি রয়েছে বলে দাবী করেন।এমনকি ঢাকা কপিরাইট অফিস হতে কপিরাইট সনদ নেয়া আছে বলে জানান।
এ ব্যপারটি জানতে পেরে ঢাকা প্রেসক্লাবের মুল পরিচালনাকারীরা এই সকল অপ-প্রচার বন্ধের জন্য ঢাকা কপিরাইট অফিসের অতিরিক্ত সচিব মোঃ দাউদ মিয়া বরাবর মোঃ ওমর ফারুক (সাধারণ সম্পাদক-ঢাকা প্রেসক্লাব) এই কপিরাইট সনদ প্রদানের কারন ও সনদটি বাতিল করণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং উক্ত অফিস হতে সরকারী ডাকযোগে প্রেরিত চিঠির মাধ্যমে ২৮শে আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে শুনানী করে পরবর্তীতে ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ উক্ত কপিরাইট অফিস হতে প্রদেয় CRA-27192 নং সনদটির কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে বলে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়ার পরও অদ্যবদি অন্যায়ভাবে ধোকা দিয়ে আসছে যা উল্লেখিত www.dhakapresclub.org ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের কপিরাইট পরীক্ষক ও তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দা নওরিন জাহান নিশা’র সাথে তার মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উক্ত বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চাইলে তারা বিষয়টি নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
Leave a Reply