বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকার খুভ ব্যস্ততম সড়কের মুল ফটক যাত্রাবাড়ী।যেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঢাকার দক্ষিনগামী বাস,ট্রাক এবং আরো অনেক ধরনের ব্যবসায়ী পরিবহন চলাচল করে আসছে যার জন্য ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের রাত-দিন অনেক পরিশ্রম করতে হয় যা অন্য কোথাও এই পরিমান পরিশ্রম বা কষ্ট পোহাতে হয়নি আদৌ।তার মধ্যে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা দিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে লোকাল বাস স্ট্যান্ড সহ যাত্রাবাড়ী হতে সদরঘাট গামী বাহাদুর শাহ পরিবহন,যার নাই কোনো ঢাকা মহানগর দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের অনুমুতি বা সড়ক পরিবহনের কোনো রোড পারমিট কিংবা উল্লেখিত ট্রাফিক বিভাগের কোনো অনুমুতি।
তবু থেমে নেই অবাধে চলা এই সকল অবৈধ ভাবে চলাচল করে আসা ঢাকা গাবতলী-মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী হতে সদরঘাট গামী ছোটো বড় পরিবহনের জবর দখল স্ট্যান্ড।
এই অবৈধভাবে ব্যবহার করা বাস বা লেগুনার বাসস্ট্যান্ডের বৈধতা যাচাই করতে গেলে সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাখাওয়াত সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তার এক কথা উল্লেখিত যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় সাধারন জনগনের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত করে ও অবৈধভাবে সড়ক দখল করে কোনো ধরনের পরিবহন তথা বাহাদুর শাহ কিংবা লোকাল কোনো বাস স্ট্যান্ড করে চলাচল করার অনুমুতি ঢাকা মহানগর দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন দেয়নি।
এখানেই শেষ না,এই ব্যপারে ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর সহিত কথা বলতে গেলে তিনি জানান যে এই সকল পরিবহনের উল্লেখিত স্ট্যান্ডে স্ট্যান্ড করে চলাচলের অনুমুতি ঢাকা মহানগর দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন দিয়েছে।তার এহেন মতামতের আলোকে উল্লেখিত দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের কোনো অনুমুতি বলে জানালে তিনি এই ব্যপারে উল্লেখিত সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাখাওয়াত সাহেবের সাথে কথা বলে এবং উল্লেখিত পরিবহনের স্ট্যান্ডের বৈধতা যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মত প্রকাশ করেন সেটাও অদ্য দিন হতে বিগত প্রায় ৪/৫ মাস পূর্বের কথা যার কোনো রকম প্রতিফলন বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বা নেননি কিন্তু কেনো হয়ে উঠেনি সেটা সংশ্লিষ্ট কর্ত্পক্ষই ভালো জানেন বা বলতে পারবেন বলে আজ সাধারণ জনগনের প্রশ্ন।
তবে কিছু দিন পূর্বে কোনো এক পরন্ত দুপুরে রাস্তায় প্রচুর জ্যামযট ও যত্রতত্র গাড়ী ঘোড়ানো হয় এবং এই ব্যপারে উপস্থিত থাকা ট্রাফিক কনস্টেবলকে স্পষ্ট দেখিয়ে দিলে নীরব ভুমিকা পালনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন যা প্রশংসা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো।
উল্লেখিত যাত্রাবাড়ী হতে শহীদ ফারুক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার সাধারন মানুষ অনেক ভয়ভীতির মধ্যদিয়ে চলাচল করে আসতে থাকে যার হাজারো কারণ থাকলেও এই অবৈধভাবে সড়ক দখল করে যত্রতত্র বাস/লেগুনার স্ট্যান্ড এমনকি ফুটপাতে গড়ে উঠা (যার বৃদ্ধি আছে হ্রাস নেই) দীর্ঘ বছরের বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব না বা কিছুই করার নেই এই ধারনার বশবর্তী হয়ে পূর্ব হতেই উল্লেখিত স্থানের উপর দিয়ে হাজারো কষ্ট হলেও এভাবেই চলতে হবে(যা অদ্যবদি বিদ্যমান)বলে উল্লেক্ষিত লক্ষ লক্ষ সাধারন মানুষ সহ্য করতে করতে নিজেদেরকে এক অভ্যাসে পরিনত করে নিয়েছে।
অথচ উল্লেখিত শহীদ ফারুক সড়ক দিয়ে অবাধে চলা বাহাদুর শাহ তথা লেগুনা গাড়ীর চাকাতলে উল্লেখিত সড়ক হতে অনেক প্রান ঝড়েছে,আহত হয়েছে,বিচার চেয়েও মিলেনি কোনো বিচার।
আজ সাধারণ জনগনের জানমালের নেই কোনো নিশ্চয়তা।সাধারন জনগনের একটাই প্রশ্ন কে দিবে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার সুনিশ্চিত নির্দেশনা।
কে নিবে এই সকল যত্রতত্র ভাবে অবৈধভাবে সড়ক দখল করে বাস/লেগুনার স্ট্যান্ড গড়ে তুলে এলোমেলোভাবে গাড়ী চালানোর কারনে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতির দ্বায়ভার,কে দিবে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার সুনিশ্চিত নির্দেশনা ট্রাফিক বিভাগ বা পুলিশ প্রশাসন নাকি ঢাকা মহানগর দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রিত সড়কে উপর সচেষ্ট দৃষ্টি বা সর্বদা খেয়াল রাখায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণদ্বয়।
Leave a Reply