মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
দায়িত্ব বন্টনের মাধ্যামে ১ দিনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা ওয়াসা জোন ১ এর সদ্য বিতারিত কুমিল্লা আওয়ামী যুবলীগ নেত্রীর ভাইআবু সাঈদের বিরুদ্ধে।শুধু তাই না উল্লেখিত আসাধু ব্যাক্তি আব সাইদ যাত্রাবাড়ী ওয়াসা অফিসে কর্মরত কুমিল্লার অধিকাংশই ইন্সপেক্টর/বিলিং সহকারীদের তাদের পছন্দের সাইট হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অনেকের বলে অনেকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঢাকা ওয়াসার আওয়ামী লীগ নেতা ও উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সাঈদের বিরুদ্ধে নিজ দপ্তরের স্মারক নাম্বার জালিয়াতির মাধ্যমে দায়িত্ব বণ্টনে অনিয়ম এবং কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে আবু সাঈদ ব্যাকডেট ব্যবহার করে স্মারক নাম্বার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের পদে বহাল রেখে এবং নতুন দায়িত্ব বন্টন করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায় স্ব পদে বহাল রাখতে তিনি নিয়েছেন ৪/৫ লাখ টাকা এবং নতুন দায়িত্ব দেওয়ায় নিয়েছেন ৩/৪ লাখ টাকা। এমনকি ১৯ /১১ /২০২৪ তারিখে স্মারক নাম্বার ৪৬১১৩২০৮০০১৩০১৪২০১৭৪১১৯ এর মাধ্যমে আবু সাঈদ কে রাজস্ব সেন্ট্রাল ফাংশনে বদলি করা হলেও তিনি দ্রুততার সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে কৌশলে নিজের প্রভাব খাঁটিয়ে সাইড পরিবর্তন করে কোটি টাকার বানিজ্য করেছেন।
এ যাবৎ কালে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে রাজধানীর আফতাব নগরে বিলাসবহুল একটি ৭ তলা বাড়ি গড়ে তোলেন তিনি। বাড়িটি আফতাব নগরের ব্লক-এল, রোড-২, বাড়ি নং-৩৯ এ অবস্থিত।
এছাড়া তার মালিকানায় রয়েছে দামি দুটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো-খ ১২-০৩৬৮ এবং ঢাকা মেট্রো-চ ৫৩-৮৫০৩। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় দেশের বাহিরে রয়েছে তার অঢেল সম্পত্তি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সমস্ত কার্যক্রম গুছিয়ে নিয়েছেন । কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পদ বণ্টন এবং স্মারক নাম্বার জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তার মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছ। ঢাকা ওয়াসার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় এমন জালিয়াতি ও অনিয়ম প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। দুর্নীতির এ অভিযোগের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি।
পাশাপাশি জালিয়াতীর মাধ্যমে তার জারিকৃত স্মারক নং ৪৬.১১৩.৩০৪.০০.০০.২০২৪-৪২১অফিস অর্ডার বাতিল করা জরুরী। এছাড়া আবু সাঈদের সম্পত্তির উৎস যাচাই করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির একটি ন্যক্কারজনক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
Leave a Reply