নিজস্ব প্রতিবেদন খুলনা
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বৈশ্বিক মহামারী হতে মানব সম্পদকে বাচাঁতে লকডাউন একটি পন্থা মাত্র। কিন্তু লকডাউন মানুষ এর জীবন-জীবিকা কে স্থবির করে রাখে যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্নক ভয়ংকর হয়ে দাড়ায়।
এই কারনে বিশ্বের অনেক দেশ এই মহামারী হতে বাচঁতে স্বাস্থ্যবিধি মানা আর বিশাল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম বিশ্বের সকল দেশের সাথে তাল মিলিয়ে শুরু করেছেন।
যুগ-উপযোগী আমাদের এই দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ২১২ যাদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে যাদের অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষ।
কিন্তু আমাদের এই বিশাল শ্রম-জীবি অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষদের কাছে উল্লেখিত করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিবন্ধনের অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারনা কম,তবে একদম নেই বললেই চলে।আর এই টিকা দানের নিবন্ধন না থাকার উল্লেখিত গরীব অসহায় শ্রমজীবি লোকদের অজ্ঞতার কারনে তাদের টিকা গ্রহনে অনীহা বা সঠিক জ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত হয়।
তবে এ ব্যপারে সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন এর ধারণা যে,আমার এবং আপনার উচিত দেশের শ্রম-জীবি জনগোষ্ঠিকে কোভিড ভ্যাকসিনেশন রেজিস্ট্রেশনে এ সহযোগীতা ও উৎসাহিত প্রদান করা উচিত বলে মনে করেন।
তবে উল্লেখিত সংস্থার খুলনা জেলা মহানগর কমিটির স্বেচ্ছাসেবীদের ধারণা যে যদি নিজ নিজ এলাকার ৬০% – ৭০% মানুষকে উল্লেখিত ভ্যাকসিনেশন এর আওতায় আনা যায় তাহলে হয়তো এক সময় উল্লেখিত মহামারি করোনা ভাইরাস অধিকহারে মৃত্যুর ঝুকি অনেক কমে আসবে।
“কোভিড-১৯ এর টিকা দিবে সরকার আর সহযোগীতা করবো আমরা ” এই স্লোগানকে ধারণ করে, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ”সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন” খুলনা এর সহযোগীতায় খালিশপুর থানা শাখা ও সলিড ওয়ার্কস, খালিশপুর যৌথ ভাবে আগামী ১৬-০৭-২০২১ ইং তারিখ হতে ২৩-০৭-২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত শুরু হচ্ছে “ ফ্রি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিবন্ধন ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সামগ্রী উপহার কার্যক্রম শুরু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আর উল্লেখিত শ্রম-জীবি মানুষকে ভ্যাকসিনেশন এ উৎসাহিত করতে “সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন” খুলনা জেলা মহানগর কমিটির এই ক্ষুদ্র প্রয়াস প্রকাশ করেছেন।
“সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন” পক্ষ হতে এই মহতি কাজের সূচনায় মহানগর ও জেলা কমিটির দায়িত্বশীলদের সকলকে এবং সকল থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উপস্থিতি কামনা করেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply