সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন
শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ)সংবাদদাতা:
যৌতুকলোভী মেম্বার নির্যাতন করে স্ত্রী সুমাইয়াকে (২১) ঘরছাড়া করার অভিযোগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলি আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুন নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা হয়েছে। ২৪ জুলাই ২০২২ খ্রি. মামলা হয় যার নং ২৭১/২২। মামলায় তিনজনকে আসামী করা হয়েছে আসামীরা হলো আনোয়ার হোসেন নিলয় (৪০) পিতা সিরাজুল ইসলাম, মা হাসনা বানু (৬০) স্বামী সিরাজুল ইসলাম, বোন সুবর্ণা বেগম (২৩) স্বামী মিলন।
আনোয়ার হোসেন নিলয় (৪০) সিরাজদিখানের কুমারখালীর সিরাজুল ইসলাম ও হাসনা বানুর ছেলে। বর্তমানে সে বয়রাগাদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার। স্বামী, ননদ ও শ^াশুড়ি নির্যাতন করে ১বছরের শিশু সন্তানকে রেখে তাড়িয়ে দেয়। তাড়িয়ে দেয়ার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত স্ত্রীকে নেয়ার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, পারিবারিকভাবে চার বছর পূর্বে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ইসলামপুরের মল্লিক চান ও পরিভানুর মেয়ে সুমাইয়ার সাথে সিরাজদিখানের কুমারখালির আনোয়ারের সাথে তিন লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে ১ লাখ টাকা উসুল দেখিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে। বিবাহের পর থেকে কোন কাজকর্ম না করে ঘুরাফেরা করতো। এ বিষয় কিছু বললেই স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায় ৫লাখ টাকা যৌতুক চায় আনোয়ার। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে শারিরীক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি শ^াশুরী হাসনা বানু (৬০) কে জানানোর পরে ননদ সুবর্ণা বেগম (২৩), শ^াশুরি ও স্বামী আনোয়ার মিলে মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায় নির্যাতনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। এমনকি ১৩এপ্রিল ২০২২ তারিখে মারধর করে এবং মানসিক নির্যাতন করে ১ বছরের শিশু সন্তান আনহা আক্তার আয়াতকে রেখে সুমাইয়াকে তাড়িয়ে দেয়। এর পর থেকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুরের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে যৌতুকলোভী কুমারখালীর মেম্বার আনোয়ার হোসেন নিলয় জানান, শিশু রেখে স্ত্রীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সরাসরি আসেন তারপরে বিষয়টি বলবো।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী মোসাম্মাৎ লুৎফা আক্তার জানান, আসামীদের ২৩ আগস্ট তারিখে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমনজারী করেছে আদালত। আসামীরা আদালতের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হলে পরোয়ানার আদেশ দিবেন।
Leave a Reply